আজিজনামা-১
জেনারেল আজিজের আওয়ামী ও ভার'ত'প্রী'তির আড়ালে চরম ইসলাম বি'দ্বে'ষ
তারিখ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪
লেখকঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক থেকে শুরু করে জেনারেল পর্যন্ত সকল পদবীর সেনাসদস্য এবং কয়েকজন দেশপ্রেমিক বেসামরিক কর্মকর্তা।
১। অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমাদের এই লেখাটা আমরা শুরু করছি কারণ গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ আমরা আমাদের প্রিয় কমরেডদের একজনকে হারিয়েছি। এটা ছিলো ১০ পদাতিক ডিভিশনের আওয়ামীপ'ন্থী লিডারশিপ ও চেইন অফ কমান্ডের ব্যর্থতা। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমরা আমাদের দেশপ্রেমিক ৫৭ জন কমরেডকে হারিয়েছি। বিগত ১৫ বছরে অসংখ্য অফিসার ও সেনাসদস্য গু'ম, খু'ন ও নি'র্যা'ত'নের শিকার হয়েছেন। ২৫ সেপ্টেম্বরের পরে আমরা যেমন চুপ থাকতে পারি নি ঠিক তেমনিভাবে সেনাবাহিনীর আরো কিছু বিষয় নিয়ে আমরা চুপ থাকতে পারছি না। আমরা ২০০৯ সালের পুনরাবৃত্তি হতে দিবো না। আমরা চাই একটি সুসংহত, ঐক্যবদ্ধ ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী। কিন্তু একটি বিশেষ বিষয় আমাদের সেনা অফিসারদের ও সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও শ'ত্রু'র বি'রু'দ্ধে যু'দ্ধ করার মোটিভেশন বা ফা'ই'টিং স্পিরিটের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি হলো সেনাবাহিনীর কিছু জেনারেল ও সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে ইসলাম বি'দ্বে'ষ। আমরা একে একে সবার ইসলাম বি'দ্বে'ষের কাহিনী প্রকাশ করবো। আজ আমরা শুধুমাত্র জেনারেল আজিজের ইসলাম বি'দ্বে'ষ নিয়ে কথা বলবো।
২। বাংলাদেশের ৯০% মানুষ মুসলিম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মানুষেরই একটি অংশ। বাংলাদেশের মুসলিমরা ধর্মপ্রাণ হওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও অধিকাংশই ধার্মিক এবং তারা ইসলাম ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে মেনে সেনাবাহিনীর চাকরি করতে চায়। এছাড়াও ধার্মিক অফিসার এবং সৈনিকরা দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বশীল হয়। অথচ সেনাবাহিনীতে কিছু জেনারেল এবং সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে প্রচন্ড রকম ইসলাম বি'দ্বে'ষ বিদ্যমান। জেনারেল আজিজের সময় এই ইসলাম বি'দ্বে'ষ সবচেয়ে বেশি ছিল। একজন মুসলিম হিসেবে সাধারণভাবে নিয়মিত মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ পড়া, দাঁড়ি রাখা, হারাম থেকে বেঁচে থাকা এগুলো তারা সহ্য করতে পারে না। আমরা উ'গ্র'বাদ ও জ'ঙ্গি'বাদকে ঘৃ'ণা করি, কিন্তু ইসলামের যে বিষয়গুলো পালন করা খুবই স্বাভাবিক, সেগুলো পালন করে আমরা সেনাবাহিনীতে চাকরি করে একটি স্বাভাবিক ও স্ট্রেসমুক্ত জীবন পরিচালনা করতে চাই। অথচ মসজিদে নামাজ পড়তে যেয়েও অনেক সময় অনেক অফিসারকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। জেনারেল আজিজের সময়কালে এমনও হয়েছিল যে কোন অফিসার ফজরের নামাজ পড়তে গেলে তার পিছনে গোয়েন্দা লেগে যেত। এমনকি ফজরের নামাজের ওয়াক্তে অফিসার্স কোয়ার্টারে কোন কোন বাসায় আলো জ্বলতো তাও নোট করা হতো। এরকম অবস্থা বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল যেখানে ছাত্রলীগের ভয়ে ছাত্ররা ফজরের নামাজ পর্যন্ত পড়তে পারতো না, তারা ভয়ে বাথরুমেই নামাজ পড়তো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টেও এ ধরনের পরিবেশ কিছুকাল ছিল, বিশেষ করে জেনারেল আজিজের সময়কালে। এটা কি ভাবতে পারা যায়? বুয়েট, ডিইউতে ছাত্রলীগ নামাজ পড়তে দিত না আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এরা কারা স'ন্ত্রা'সী ছাত্রলীগের ভূমিকায় ছিল?
৩। সম্মানিত সেনাপ্রধানের উদ্দেশ্যে:
স্যার, ছাত্র আ'ন্দো'ল'নের পরিস্থিতি যখন প্রচন্ড রকম অবনতি হয়, তখন দেশের ক্রান্তিলগ্নে আপনি ৩ আগস্ট ২০২৪ সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের মতামত জানার জন্য অফিসার্স অ্যাড্রেস আয়োজন করেছিলেন যেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল অফিসার VTC (Video Tele Conference) এর মাধ্যমে একই সাথে যুক্ত হয়েছিল। ঐ দরবারটা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি টার্নিং পয়েন্ট। আপনি জুনিয়র অফিসারদের মনোভাব বুঝতে পেরেছিলেন। আপনার স্বৈ'রা'চারের পক্ষ না নেয়া এবং দেশের জনগণের সাথে একাত্ম হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল জুনিয়র অফিসারদের ধার্মিকতা। মূল কারণ যে আমেরিকা ও জাতিসংঘ সেটাও আমরা জানি। আপনার বিরুদ্ধে অনেকে আওয়ামী লীগ ও ভারতের প্রতি কিছুটা আনুগত্য থাকার অভিযোগ করে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল নষ্ট করে ও স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে নতুন স্বাধীনতা ন'স্যাৎ করার ষ'ড়'য'ন্ত্র ও পরিকল্পনার সাথে আপনার নামকে অনেকে জড়িয়ে দিচ্ছে। আরো অনেকে অনেক কিছু আপনার নামে সমালোচনা করে যাচ্ছে। এরপরেও আমরা বলবো, আপনার জায়গায় জেনারেল আজিজ বা অন্য কেউ থাকলে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যরকম হতো। ৫ আগস্টের পর থেকেই এই কথা সকল অফিসার-সৈনিকদের মুখে মুখে ঘুরছে। আপনার ঐ দরবারে দোয়া করা হয়েছিল আমরা যেন জা'লি'মের অংশ না হই। আপনি ও সকল উপস্থিত অফিসার অনলাইনে ও অফলাইনে একযোগে আমিন বলেছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এরকম এর আগে কখনো হয়নি। ঐ বিশেষ ঘটনা থেকে বুঝা যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসাররা আল্লাহর প্রতি কতটা বিশ্বস্ত এবং ইসলামকে কতটুকু ধারণ করেন। আল্লাহর প্রতি ভয় না থাকলে জুনিয়র অফিসাররা জা'লি'ম হতে দ্বিধা করত না এবং ছাত্র-জনতার ওপর গু'লি চালাতে তাদের আপত্তি হতো না। তাই আমরা বলবো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসারদের ধার্মিকতাই দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশের মানুষকে রক্ষা করেছে। একই সাথে স্যার আপনি নিজেও আল্লাহকে ভয় করেন বলেই দেশের জনগণের বুকে গু'লি চালাতে হুকুম দেননি। আমেরিকা ও জাতিসংঘের হুমকি ও চাপ দেওয়ার বিষয়টি আমাদের এখানে আলোচনার বিষয় নয়। অনেক সমালোচক অনেক কিছু বললেও যতক্ষণ আমরা সুস্পষ্টভাবে আপনার মধ্যে দেশ'দ্রো'হী'তা না দেখবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আপনার শতভাগ অনুগত সৈনিক হিসেবে থাকবো। দেশ'দ্রো'হী'তা বলতে আমরা আওয়ামীপ্রেম, ভারতপ্রেম, বৈদেশিক শক্তির কাছে দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দেয়া এবং ইসলাম বি'দ্বে'ষ বুঝি। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বৈ'রা'চা'রের দোসররা এখনো ক্ষমতায় আছে এবং দেশ'দ্রো'হি'তার এই কাজগুলো করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আওয়ামীপন্থী এবং 'র' এজেন্ট অফিসার ও জেনারেলদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এরা সাধারণত ইসলাম বি'দ্বে'ষী হয়ে থাকে। '২+২=৪' এটা যেমন ধ্রুব সত্য, ঠিক তেমনি 'আওয়ামীপন্থী = ভারতপন্থী = ইসলাম বি'দ্বে'ষী' এটাও ধ্রুব সত্য। এই তিন গুনে গুণান্বিত অফিসারদের চেনার উপায় হল এরা মুক্তি'যু'দ্ধে'র চেতনা কাপচাবে, স্বৈ'রা'চার মুজিবকে জাতির পিতা দাবি করবে, কথায় কথায় জামাত-শিবির ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিষোদগার করবে এবং দাঁড়ি দেখলে বা ইসলামিক বিষয় নিয়ে কথা উঠলেই এদের চুলকানি শুরু হবে। এখনো কিছু জেনারেল তাদের ইসলাম বি'দ্বে'ষ জারি রেখেছে এবং পতিত স্বৈ'রা'চারকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
৪। আমরা একে একে সকল ভারতপন্থী, আওয়ামীপন্থী ও ইসলাম বি'দ্বে'ষী জেনারেল ও সিনিয়র অফিসারদের মুখোশ উন্মোচন করব ইনশাআল্লাহ। আজকের প্রথম পর্বে আমরা একজন জেনারেল ও একইসাথে প্রাক্তন সেনাপ্রধানের ইসলাম বি'দ্বে'ষ ও ভারতপ্রেমের গল্প বলবো।
প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ
(১) 'র' এজেন্ট ও প্রো-ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট তৈরি:
ভারতের গো'য়ে'ন্দা সংস্থা 'র' এর অন্যতম সাফল্য ছিল জেনারেল আজিজকে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বানানো। একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেলের কাছ থেকে জানা যায় যে, জেনারেল আজিজ সেনাপ্রধান হয়ে যাওয়ার পর 'র' এর সাথে গোপন সম্মতির ভিত্তিতে ভারতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসারদের ব্যাপক হারে কোর্সের প্রচলন শুরু করেন। তিনি পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কোর্সের সংখ্যা কমিয়ে দেন। এর উদ্দেশ্য ছিল এটা যে ভারতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসাররা বেশি বেশি কোর্স করে তাদের সাথে সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতি তৈরি হবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রচ্ছন্ন শ'ত্রু হিসেবে ভারতের প্রতি যে নেতিবাচক মনোভাব সেটা অফিসারদের থেকে দূর হবে। এছাড়াও আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল সম্ভাব্য 'র' এজেন্ট তৈরি করা। জেনারেল আজিজ এক্ষেত্রে অনেকখানি সফল হয়েছেন। একটি যু'দ্ধে বিজয়ের জন্য শ'ত্রু'কে শ'ত্রু হিসেবেই দেখতে হয়। শ'ত্রু'র প্রতি আগে থেকেই যদি বন্ধুসুলভ মনোভাব তৈরি করা যায় তাহলে শ'ত্রু যু'দ্ধে'র আগেই অনেকখানি সফল হয়ে যায়। ইকবাল করিম ভূঁইয়া সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ সিলেবাসে ভারতকে 'নে'কড়ে দেশ' স্ট্যাটাস থেকে 'লাল দেশ' স্ট্যাটাসে রূপান্তর করেছিলেন। আর ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধ সেনাবাহিনী থেকে নি'ষি'দ্ধ ও ট্যাবু করার মাধ্যমে ফা'ই'টিং স্পিরিট নষ্ট করে ভারতের আজ্ঞাবহ একটি সেনাবাহিনী তৈরি করার কাজটি অনেকদূর নিয়ে গিয়েছিল এই আজিজ। এছাড়াও আজিজের সময়ে ভারতে 'র' এজেন্ট তৈরি ছাড়াও অফিসিয়াল ভ্রমণ ও প্রশিক্ষণের নামে কিছু অফিসার 'র' এর কার্যক্রম পরিচালনা করতো। জুনিয়র অফিসারদের ভারতে প্রশিক্ষণে পাঠানোর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল সম্ভাব্য 'র' এজেন্ট তৈরি করা। ভারতের গোলাম জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ যা শুরু করেছিলেন, তারই হাত ধরে পরবর্তী জেনারেলগণ ও জেনারেল আজিজের মত 'র' এজেন্টদের দিয়ে ভারত এ বিষয়ে অনেক সফলতা অর্জন করেছে।
(২) ইসলাম বি'দ্বে'ষঃ
এছাড়াও জেনারেল আজিজের অন্যতম হলমার্ক হলো তিনি ছিলেন একজন ইসলাম বি'দ্বে'ষী জেনারেল। তিনি ধর্মীয় বিষয়ে খুবই অস'হি'ষ্ণু ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ইসলাম ও ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েই জেনারেল আজিজ দাঁড়ি রাখার উপর অনেক কড়াকড়ি ও নি'ষে'ধা'জ্ঞা আরোপ করেন। এমবিএমএল যার অর্থ ম্যানুয়াল অফ বাংলাদেশ মিলিটারি ল, যা মূলত 'ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী'র জন্য ব্রিটিশ প্রশাসন কর্তৃক তৈরি করা আইনের কার্বন কপি, সেখানের AR(I) 684 (D) অনুযায়ী দাঁড়ি রাখার জন্য কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। কোন অফিসার বা সৈনিক দাঁড়ি রাখার সময় তার সুপিরিয়র অফিসারকে শুধুমাত্র অবগত করবে। জেনারেল আজিজ সেনা আইন পরিবর্তন করতে পারেননি তবে অলিখিতভাবে দাঁড়ি রাখার জন্য অনুমতি নেয়ার প্রচলন করেছিলেন। শুধু তাই নয় বরং দাঁড়ি রাখতে অনুমতি নেয়াকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। আর প্র্যাকটিক্যালি জিওসিদের আদেশ দিয়েছিলেন কোন অফিসার যেন দাঁড়ি না রাখতে পারে। কোন অফিসার দাঁড়ি রাখলে তার প্রমোশন আটকে দিতেন। প্রমোশনের জন্য অনেক অফিসারকে তিনি জিওসিদের মাধ্যমে দাঁড়ি কাটার আদেশ দিয়েছিলেন। আর কিছু কিছু জিওসি অতি উৎসাহী হয়ে জুনিয়র অফিসার থেকে শুরু করে সিনিয়র অফিসার পর্যন্ত দাঁড়ি রাখতে না দেয়া ও যারা দাঁড়ি রেখেছে তাদের কেটে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় যেসব অতি উৎসাহী ও ইসলাম বি'দ্বে'ষী জেওসি ও সিনিয়র অফিসার তাদের আন্ডার কমান্ড অফিসার ও সৈনিকদের দাঁড়ি কাটার আদেশ দিয়েছিলেন বা দাঁড়ি রাখতে অনুমতি চাওয়ার কারণে অনুমতি তো দেনই নি বরং অপমান-অপদস্থ করেছেন তাদের নামীয় তালিকা আমরা একে একে প্রকাশ করব ইনশাআল্লাহ। সেনাবাহিনীর একটি মর্যাদাপূর্ণ পোস্টিং হলো ইউনিট কমান্ড করার পোস্টিং। জেনারেল আজিজ সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই সকল দাঁড়িওয়ালা অফিসারকে কমান্ড থেকে সরিয়ে দেন। এছাড়াও গো'য়ে'ন্দা সংস্থাসহ আরো বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ পোস্টিং যেমন বিএমএর প্লাটুন কমান্ডার, জিওসির এডিসি, এসএসএফ, পিজিআর এসব জায়গায় দাঁড়িওয়ালা অফিসারদের পোস্টিং বন্ধ করে দেন। আর প্রমোশন ও কমান্ড পাওয়ার শর্ত দেন দাঁড়ি না রাখা বা থাকলে কেটে ফেলা। এছাড়াও আজিজ যখন কোন সেনানিবাসে পরিদর্শনে যেতেন তখন ঐ সেনানিবাসের অফিসাররা দাঁড়িওয়ালা অফিসারদের লুকিয়ে বা আড়ালে রাখতেন যেন জেনারেল আজিজের সামনে তারা না পড়ে। জেনারেল আজিজ কোন দাঁড়িওয়ালা অফিসারকে দেখলেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতেন। তিনি গোঁফ রাখার প্রতি উৎসাহ দিতেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসারদের উচিত ব্রিটিশদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। আর্মি রেগুলেশন্সের একটা ছোট্ট লাইন বা শব্দই তাদের জীবনকে আরো বেশি ক'ষ্ট'দা'য়ক করে দিত। যদি 'Inform' এর জায়গায় 'Permission' শব্দটা লিখতো, তাহলেই এটা হতো। আজিজের মতো জেনারেলরা তখন নিজেদেরকে প্রচন্ড ক্ষমতাধর মনে করে দাঁড়ি রাখার অনুমতি দিতো না এবং হেনস্তা ও টালবাহানা করতো। ব্রিটিশরা মুসলিম না হয়েও কাজটা কত সহজ করে দিয়েছে, তারা হয়তো ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই নিয়মটি তৈরি করেনি কিন্তু এই শব্দের খেলা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার ও সৈনিকদের জীবনকে সহজ করেছে। আর আজিজ, মুজিব ও জিয়ার মত মুসলিম নামধারী ইসলাম বি'দ্বে'ষী নিকৃষ্ট জেনারেলরা বৃটিশদের চাইতেও কতো নি'কৃ'ষ্ট কাজ করে গিয়েছে ও করে যাচ্ছে তা ভাবতেও অবাক লাগে।
(৩) ব্রিটিশ ড্রেসকোডঃ
আমাদের আরেকটা কথা হলো ১০০ বছর আগে ব্রিটিশরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য যেই ড্রেস কোড তৈরি করেছিল সেটা কেন আমাদের অনুসরণ করতে হবে? ভারতে শিখরা দাঁড়ি রাখতে পারে এবং ফরেজ/পিক ক্যাপের পরিবর্তে শিখ পাগড়ি পড়তে পারে। অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মহিলা সদস্যদের হিজাব পড়ার অনুমতি দেয়া হয়নি আর পুরুষ সেনা সদস্যদের দাঁড়ি রাখার উপরে ছিল অলিখিত কড়াকড়ি। বাংলাদেশ যদি একটি সত্যিকারের সে'কু'লার রাষ্ট্র হতো তাহলে এটা কখনোই হওয়ার কথা ছিল না। কারণ সেকুলার রাষ্ট্রে সকল নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সেকুলারিজম ছিল ইসলাম বি'দ্বে'ষী সে'কু'লা'রিজম। তাই ৫৩ বছর ধরে হিজাব নি'ষি'দ্ধ ছিল। ব্রিটিশরা যদি AR(I) এর ড্রেসকোডে হিজাব পরার বিষয়টি লিখে দিত তাহলে হয়তো এই সমস্যাটা হতো না। ভাগ্য ভালো ব্রিটিশরা ড্রেস কোডের মধ্যে দাঁড়ি রাখার কথা বলেছে এবং দাঁড়ি রাখার অনুমতি নেয়ার কথা বলে নাই, অবগত করার কথা বলেছে। না হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অফিসাররা দাঁড়ি রাখতে যেয়ে আরো হেনস্তার শিকার হত। কিছু জেনারেলদের কাছে সেনাবাহিনীর এমবিএমএল বা আইন যা বলতে গেলে 'ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী'র আইনের কার্বন কপি তা কুরআনের চাইতেও বেশি প্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য। সে কারণেই এতদিন সীমিতভাবে দাঁড়ি রাখা গেলেও হিজাব একেবারেই নিষিদ্ধ ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। এছাড়াও জেনারেল আজিজ টাখনুর উপরে কাপড় পড়াকে উগ্রবাদ এবং ধর্মীয় গোঁড়ামী মনে করতেন। মজার বিষয় হল টাখনুর উপরে কাপড় পড়াকে ব্রিটিশরা তাদের তৈরি করা আইনে অ'বৈ'ধ ঘোষণা করেনি। এরপরেও আজিজের মত ইসলাম বি'দ্বে'ষী জেনারেলগণ এবং সিনিয়র অফিসারগণ তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের কারণে টাখনুর উপরে কাপড় পরাকে অগ্রহণযোগ্য ও গোঁড়ামি মনে করে।
(৪) দ্বৈত নাগরিকত্ব ইস্যুঃ
সেনাবাহিনীর অফিসারদের স্ত্রীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকাকে জেনারেল আজিজ অবৈধ ঘোষণা করেন যার ফলে অনেক দেশপ্রেমিক ও চৌকস অফিসার অনিচ্ছা সত্ত্বেও চাকরি থেকে অবসরে যেতে বাধ্য হন। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে মেজর জেনারেল পদবী পর্যন্ত অফিসার। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকারের মন্ত্রী, আমলা, প্রশাসন ও পুলিশের উচ্চপর্যায়ের অফিসারদের শুধু স্ত্রীই না, নিজেদেরই দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে; যেখানে কিনা সেনা অফিসারদের স্ত্রীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার কারণে অফিসারদের নিজেদের চাকরি হারাতে হয়েছে।
(৫) ধার্মিক ও দেশপ্রেমিক অফিসারদের চাকরিচ্যুতিঃ
সাধারণত ধার্মিক অফিসাররাই বেশি দেশপ্রেমিক হয়। তাই আজিজকে দিয়ে ভারতের গো'য়ে'ন্দা সংস্থা 'র' অনেক ধার্মিক অফিসারকে চাকরীচ্যুত করেছে। এরকম একটি বিখ্যাত ঘটনা হলো ২০১৯ সালে ৫ জন জুনিয়র অফিসারকে চাকরি থেকে বের করে দেয়া। ২০১৯ এর প্রথম দিকে একজন জুনিয়র অফিসার সেনাবাহিনীর দাঁড়িবি'দ্বে'ষ, টাখনুর উপরে প্যান্ট পরতে না দেয়া, অফিস ও প্রশিক্ষণের সময়ে নামাজ পড়তে না দেয়া এবং গেমস টাইমে বাধ্যতামূলক হাফপ্যান্ট পড়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশ্ন তুলেন। সাথে সাথে সেই অফিসারকে ক্লোজ অ্যা'রে'স্ট করে ডিজিএফআইতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার সাথে যোগাযোগ আছে এমন এবং সমমনা প্রায় এক প্লাটুন অফিসারকে ক্লোজ অ্যারেস্ট করে ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর উপস্থিতি ছিলো, যা ভুক্তভোগী অফিসারদের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। এরপর এদের মধ্যে সবচেয়ে ধার্মিক ও প্র্যাকটিসিং পাঁচজন দেশপ্রেমিক অফিসারকে উ'গ্র'বাদের অজুহাত দেখিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে সেনাবাহিনী থেকে বের করে দেয়া হয় যা ছিলো সম্পূর্ণ 'র' এর পরিকল্পনা। তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার চিঠিতে কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো ওই পাঁচজন অফিসারের সবাইই এক্স ক্যাডেট। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ক্যাডেট কলেজ থেকে তৈরি হওয়া এই অফিসারদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কোনো কারণ দর্শানো ব্যতীত সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ঐ অফিসারদের সাথে তাদের ক্যাডেট কলেজের ব্যাচমেট এবং আরো কিছু এক্সক্যাডেটকে কোন প্রমাণ ব্যতীত আয়নাঘরে প্রায় এক বছর গু'ম করে রাখা হয় ও ট'র্চা'র করা হয়। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর এরকম কয়েকজন ভুক্তভোগী তরুণ ও এক্স ক্যাডেট মুখ খুলেছেন যা সোশ্যাল মিডিয়াতে একটু খু্ঁজলেই পাওয়া যাবে। এছাড়াও ২০১৮ এর নৈশভোট নিয়ে কয়েকজন দেশপ্রেমিক অফিসার সোশাল মিডিয়াতে প্র'তি'বাদ করায় তাদেরকেও রাষ্ট্রদোহিতার অজুহাত দিয়ে সেনাবাহিনী থেকে বের করে দেয়া হয় ও কয়েকজনকে গু'ম করা হয়। দ্বৈত নাগরিকত্ব, তথাকথিত উগ্রবাদ ও রাষ্ট্রদোহিতার দোহাই দিয়ে দেশপ্রেমিক, ধার্মিক ও চৌকস অফিসারদের সেনাবাহিনী থেকে বের করে দেওয়া, গু'ম করা এগুলো সবই আসলে ছিলো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর সাফল্য যা তারা জেনারেল আজিজের মত কু'লা'ঙ্গা'র সেনাপ্রধানকে দিয়ে করিয়েছে। নতুন সরকারের উচিত অন্যায়ভাবে উপযুক্ত কারণ ব্যতীত যেসব অফিসারদের বের করে দেয়া হয়েছে তাদের বিষয়টি তদন্ত করে এই অন্যায়ের সাথে জড়িত সকল সিনিয়র অফিসারদের বি'রুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া এবং ওই অফিসারদের চাকরিতে ফিরিয়ে আনা অথবা ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং স্বাভাবিক অবসরের সুযোগ সুবিধা চালু করা।
(৬) ধর্ম পালনের অধিকার: আমেরিকা বনাম বাংলাদেশঃ
সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কয়েকজন জুনিয়র অফিসারের তথ্যমতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে 'হ্যা'ক-স রিজ' (Ha'c'k'saw Ridge) মুভিটি বেশ কয়েকবার দেখানো হয়েছে। মুভির মূল যে সত্য ঘটনা সেখানে একজন মেডিক (মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট) সৈনিক দ্বিতীয় বিশ্ব'যু'দ্ধে'র সময় আরো অসংখ্য সৈনিকের জীবন বাঁচিয়েছে। অথচ সে ছিল অ'স্ত্র বিহীন সৈনিক। অর্থাৎ সে অ'স্ত্র'ধারি ছিল না এবং সে অ'স্ত্র ত্যাগ করেছিল তার ধর্মীয় কারণে। প্রশিক্ষণের সময় রা'ই'ফে'ল ব্যবহার করতে না চাওয়া এবং শনিবারে প্রশিক্ষণ করতে না চাওয়ায় তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় এবং সৈনিক হিসেবে কোনরকম পাস আউট করার পর প্রথমে তার জে'ল এবং এরপর কোর্ট মার্শাল হয়। কিন্তু কোর্ট মার্শালে রায় তার পক্ষেই যায় কারণ সে বাইবেলের অনুসারী ছিল এবং আমেরিকান সংবিধান ধর্ম পালনের অধিকার সংরক্ষণ করে। বাইবেলে মানুষ হ'ত্যা করা নি'ষি'দ্ধ এবং এ কারণে সে একটি বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে অ'স্ত্র হাতে না নেয়ার শপথ করেছিল। এটা বাইবেলের 'টেন কমান্ডমেন্টস' বা 'দশটি আদেশ' এর একটি। আমেরিকান সংবিধান অনুযায়ী কোন সৈনিক যদি বাইবেলকে অনুসরণ করতে চায় এবং তা সেনা আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হয় তবে তাকে বাইবেলকে অনুসরণ করতে দেয়া হবে মর্মে একটি ধারা আছে। অর্থাৎ আমেরিকান সংবিধান ঐ সৈনিকের ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করেছিল। সেই ধারার প্রেক্ষিতেই কোর্ট মার্শালের বিচারক সেই সৈনিকের শাস্তি মওকুফ করে দেন এবং অ'স্ত্র'বিহীন প্রশিক্ষণ এবং পরবর্তীতে যু'দ্ধে যাওয়ার অনুমতি দেন। অথচ এক সময় দেখা যায় যে অ'স্ত্র ধারণ না করার পরেও শুধুমাত্র সাহসিকতা ও গাটস্ দিয়ে অসংখ্য আহত সৈনিককে বাঁচিয়ে সে একজন হিরো হয়ে গিয়েছে। এই মুভিটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অসংখ্য অফিসার এবং সৈনিক দেখেছে। কিন্তু মুভির এই বিষয়টি কেউ খেয়াল করেছে কিনা আমরা জানিনা। অ'শা'লী'ন দৃশ্য থাকায় আমরা মুসলিমদের এই মুভি দেখার সাজেশন দিচ্ছি না। যারা দেখে ফেলেছেন তারা প্রেক্ষাপটটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে মিলাতে পারবেন বলেই আমরা এই মুভির কথা উল্লেখ করেছি। তবে অনলাইন থেকে আপনারা মুভির কাহিনী বা প্লট জেনে নিতে পারেন। আমরা উইকিপিডিয়ার লিংক দিচ্ছি:
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hacksaw_Ridge
মূল ঘটনাটি একটি সত্য ঘটনা। আমেরিকান সংবিধান অক্ষুন্ন রেখে তাদের সেনাবাহিনীতে বাইবেলকে অনুসরণ করে অ'স্ত্র ব্যবহার না করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল, এ ধরনের বিষয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অকল্পনীয়। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানেও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করার কথা বলা আছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার ও সৈনিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা লংঘন ও বৈ'ষ'ম্য করে আসা হয়েছে অথচ এ বিষয়ে বড় ধরনের কোন আওয়াজ কিংবা আলোচনা হয়নি। যারাই একটুখানি কথা বলেছে তাদেরকেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে কিংবা সেনাবাহিনী থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমেরিকান সেনাবাহিনীতে একজন সৈনিককে তার ধর্ম পালনের অধিকারকে রক্ষা করতে অ'স্ত্র'বিহীন যু'দ্ধে'র ময়দানে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল অথচ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কুরআন এবং সুন্নাহকে অনুসরণ করে সামান্য দাঁড়ি রাখা, টাখনুর উপরে কাপড় পরা, পিটি-গেমসের সময় হাফপ্যান্ট না পড়ে ফুলপ্যান্ট বা ট্রাউজার পরা, মহিলাদের হিজাব পরা, গান-বাজনায় অংশ নিতে বাধ্য না করা এগুলোকেই অনুমতি দেয়া হয় না। এগুলো নিয়ে কোন ধরনের কথা বললেই অফিসারদের শাস্তি কিংবা চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয় ঠিক যেমন এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলায় সেই পাঁচজন জুনিয়র অফিসারকে সেনাবাহিনী থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সেই অফিসারদের উচিত বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের সহযোগিতা নিয়ে জেনারেল আজিজের সিদ্ধান্ত ও তথাকথিত বিচারকে চ্যালেঞ্জ করে চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করা কিংবা চাকরি থেকে অন্যায়ভাবে বের করে দেয়ার ক্ষতিপূরণ দাবি করা। একইভাবে বিডিআর বিদ্রোহের সময় নি'হ'ত কমরেডদের পক্ষে কথা বলা, আওয়ামী লীগের দুর্নীতির সমালোচনা করা, স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব, নির্বাচনের সময় প্রতিবাদ করা এবং অন্যান্য অন্যায় কারণে যে সব অফিসারকে চাকরি হারাতে হয়েছে তাদেরও উচিত আইনের সহায়তা নেওয়া।
(৭) ধর্মহীন অফিসার শ্রেণী তৈরিঃ
জেনারেল আজিজের ইসলাম বি'দ্বে'ষে'র আরেকটা উদ্দেশ্য ছিল ধর্মহীন একটা অফিসার ক্লাস তৈরি করা যারা খু'নি ও ফ্যা'সি'স্ট'দের মনোরঞ্জনের জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে নাচা-গানা, পার্টি-ফুর্তি, ম'দ-মা'গী'বা'জি সবই করবে এবং একই সাথে তাদের অনৈ'তিক আদেশ বিনা বাক্যে মেনে নিবে অর্থাৎ বিবেক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ দিয়ে তারা আদেশের নৈতিকতা বা লফুলনেস যাচাই করবে না। এসএসএফে থাকাকালীন লেঃ জেনারেল মুজিবের সাথে বিমান বাহিনীর প্রাক্তন অফিসার স্কোয়াড্রন লিডার সাদিয়া বিনতে শফিক এর ঘটনা আমরা ইতিমধ্যে অনেকেই জানি। সেটাও ছিল আজিজের রঙ্গলীলার জামানা। মুজিব সেই মহিলা অফিসারকে খু'নি হাসিনা ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোর মনোরঞ্জনের জন্য নর্তকী হয়ে নাচতে বলেছিল। কিন্তু ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সেই স্কোয়াড্রন লিডার সাদিয়া রাজি হননি, তাই তাকে পানি'শমে'ন্ট হিসেবে এসএসএফ থেকে বের করে দেয় সেই বদমাইশ মুজিব। তাই সেনাবাহিনীর ভিতরে ইসলাম বি'দ্বে'ষ জিইয়ে রাখা এবং অফিসার ও সৈনিকদের ইসলাম ধর্ম স্বাভাবিকভাবে পালন করতে বাধা দেয়ার উদ্দেশ্য হলো ধর্ম ও নৈতিকতাহীন একটা বাহিনী ও ক্লাস তৈরি করে ফ্যাসিস্ট রিজিমের গোলামী ও মনোরঞ্জন চালিয়ে যাওয়া, বাংলাদেশের জনগণের ক্ষতি করে সম্পদ লুট করা ও সার্বভৌমত্বকে বিলীন করে বৈদেশিক গোলামীর জিঞ্জির পরিয়ে দেয়া। এটা তাদের পক্ষেই করা সম্ভব যারা দেশ ও জনগণের শ'ত্রু এবং বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার অনুগত। তাই সরকার ও সেনাপ্রধানের কাছে আমাদের অনুরোধ, সার্ভিং জেনারেলদের মধ্যে যারা আজিজ, মুজিব ও জিয়ার মত ইসলাম বি'দ্বে'ষী, তাদের সরিয়ে দিয়ে সৎ, দেশপ্রেমিক এবং আল্লাহভীরু জেনারেলদের উচ্চপদে রেখে দেশ ও জনগণের কল্যাণ করা এবং বৈদেশিক এজেন্ডা ন'স্যাৎ করা।
(৮) মানসিক দাসত্ব ও চিন্তাপরাধঃ
ইসলাম বি'দ্বে'ষ ছাড়াও জেনারেল আজিজের সময়ে আরো কিছু বড় ধরনের সমস্যা ছিল। প্রমোশন, ভালো পোস্টিং, বৈদেশিক কোর্স, বিভিন্ন আর্থিক ও চাকরির সুবিধা ইত্যাদির মুলা দেখিয়ে জেনারেল আজিজ তার কমান্ড চ্যানেলের মাধ্যমে অফিসারদের উপর একটি মানসিক দা'স'ত্ব তৈরি করেছিলেন। অফিসাররা যেন দেশ ও ধর্ম নিয়ে বেশি চিন্তা করতে না পারে সেজন্য তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রশাসনিক কাজ ও লেডিস ক্লাবের প্রোগ্রামের মতো বেহুদা কাজকর্ম দিয়ে অফিসারদেরকে তাদের পরিবারসহ ব্যস্ত রাখতেন। এখনো করা হচ্ছে; আওয়ামী দোসর জিওসি ও কমান্ডাররা ক্যান্টনমেন্টের অফিসার, যারা মোতায়নে যায়নি তাদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আয়োজন আর খেলাধুলা দিয়ে বেশি বেশি ব্যস্ত রাখছে। আজিজের সময়ে দেশ কিংবা ধর্ম নিয়ে যেসব অফিসার কথা বলতো বা চিন্তা করত তাদেরকেই শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হতো। ঠিক ইউটিউবের চিন্তাপরাধ সিরিজটির মত। অফিসারদের ধর্মহীন করার জন্য দাঁড়ি, নামাজ ও ধর্মীয় বিষয়গুলোর উপর নি'ষে'ধা'জ্ঞা ছাড়াও মডেল, নর্তকী ও গায়িকাদের ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে এসে নাচা-গানা ও কনসার্টের আয়োজন করা হতো। কোন কোন অতি উৎসাহী জিওসি কনসার্ট বা তথাকথিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মেশআপ সং বা সমাপনী গানের সময় জুনিয়র অফিসারদের স্টেজে উঠে মডেল বা নর্তকীর পাশে নাচতে বলতেন, জিওসির এই আদেশে অনীহা প্রকাশ করলে তাদের নাম নোট করা হতো এবং তার ইউনিট অধিনায়ককে জিওসি কথা শোনাতেন। জেনারেল আজিজের সময়ে কাজের পরিবেশ স্ট্রেসফুল (য'ন্ত্র'ণা'দা'য়ক) হওয়া; পেশাদারিত্বের চেয়ে আওয়ামী কানেকশন বেশি গুরুত্বপূর্ণ পাওয়া; সিনিয়রদের চা'টু'কারিতা ও দু'র্নীবতি; অপ্রয়োজনীয় ব্যস্ততা ও কড়াকড়ি; ব্যস্ততার কারণে পরিবারকে সময় দিতে না পারা, স্ট্যাটাসের সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে বেতনের অসংগতি ও পর্যাপ্ত না হওয়া; প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের চাইতে বেশি পরিমাণে প্রশাসনিক, সাংস্কৃতিক ও লেডিস ক্লাবের বেহুদা কার্যক্রম; জুনিয়র অফিসারদেরকে অধিনায়ক, ব্রিগেড কমান্ডার কিংবা জিওসি কর্তৃক ওউন না করা; স্টাফ কোর্সের ইঁদুর-দৌড় ও বৈ'ষ'ম্য; এরকম বিভিন্ন কারণে অনেক অফিসার চাকরি কম থাকা অবস্থাতেই স্বেচ্ছায় অবসরে চলে গিয়েছেন এবং এই ধারা এখনো অব্যাহত আছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত 'র' এর রাজত্বকালে একইভাবে সবকিছু হয়েছে। আর জেনারেল আজিজ এর সময় এই অবস্থা তুঙ্গে ছিল। এছাড়াও সেনাভবনের মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ বাসভবনে জেনারেল আজিজ গায়ক, গায়িকা ও নর্তকি এনে গান-বাজনা ও নৃত্যের রঙ্গশালা বানিয়েছিলেন। এগুলো সবকিছুর উদ্দেশ্যই ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার ও সৈনিকদের চাকরির প্রতি সুধারণা ও সন্তুষ্টি নষ্ট করে নৈতিকতা ও মনোবল ধ্বংস করে দেয়া। হয় মানসিকভাবে দাস হয়ে থাকতে হবে না হয় আত্মসম্মানের জন্য চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। আপনার আশেপাশের অবসরপ্রাপ্ত তরুণ ক্যাপ্টেন বা মেজরদের জিজ্ঞাসা করলেই আমাদের এই দাবির সত্যতা পেয়ে যাবেন। তবে যারা আজিজের এই রঙ্গলীলার প্রতি সুধারণা রাখতো তাদের তিনি জুস অর্থাৎ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রাখতেন। বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার সাদিয়ার মত যারাই রঙ্গলীলার বিরোধিতা করতো বা চিন্তাপরাধ করত তাদেরকেই কালো তালিকাভুক্ত করে শাস্তি দিতেন যার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ সেই পাঁচ জন অফিসার। এভাবেই মানসিক দাসত্ব এবং চিন্তাপরাধ সৃষ্টি করেছিলেন জেনারেল আজিজ। আজিজের মতই একই রকম চিন্তা-চেতনা পোষণ, কাজকর্ম ও রঙ্গলীলা করতেন বিমানবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল আব্দুল হান্নান। বিমান বাহিনীর অফিসাররা বলে থাকেন হান্নান ছিল আজিজের বিমান ভার্সন।
(৯) এন্টি-আওয়ামীজমকে ট্যাবু করাঃ
জেনারেল আজিজের অন্যতম সাফল্য ছিল সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ভারতপন্থী ও আওয়ামীপন্থী সেন্টিমেন্ট তৈরি করা। পশ্চিমা বিশ্বে এন্টি-সেমিটিজম বা ই'হু'দী'বি'দ্বে'ষ একটি নি'ষি'দ্ধ বিষয় ও ট্যাবু। অনেক দেশে আইন করে এটাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারো মধ্যে এন্টি সেমিটিজম পাওয়া গেলেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেনারেল আজিজ এরকম একটি পরিস্থিতি ও সেন্টিমেন্ট চালু করেছিলেন। ভারত বা আওয়ামী লীগ কারো বিরু'দ্ধে কিছু বলা যাবে না বা করা যাবে না। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে জেনারেল আজিজ এবং বেসামরিক পরিমণ্ডলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সারাদেশে এই কাজটা করেছিল। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে ছাত্রলীগ 'এন্টি-সেমিটিজমকে ট্যাবু করা'র মত করে 'এন্টি আওয়ামী, এ'ন্টি ইন্ডিয়া ও এন্টি মুজিব সেন্টিমেন্ট'কে ট্যাবু করেছিল। ছাত্রদলকে সম্পূর্ণ দমন করতে না পারলেও ছাত্র শিবিরকে তথাকথিত রা'জা'কার ও জঙ্গি তকমা দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ট্যাবু বানিয়ে এবং মারপিট ও গু'ম-খু'নে'র মাধ্যমে দমন করে ফেলেছিল। আর যে কারো মধ্যেই ভারত বি'রো'ধী সেন্টিমেন্ট পাওয়া গেলে তাকে নির্যাতন করত এই রাষ্ট্র বি'রো'ধী স'ন্ত্রা'সী সংগঠন ছাত্রলীগ। এ কারণেই বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে এন্টি ইন্ডিয়ান পোস্ট দেয়ার কারণে স'ন্ত্রা'সী ছাত্রলীগের হাতে শহীদ হতে হয়েছিল। এই ঘটনা ঘটেছিল জেনারেল আজিজের সময়ে ২০২০ সালের মার্চে। অর্থাৎ চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। বাইরে ছাত্রলীগ আর ভিতরে জেনারেল আজিজ। কভিড সংক্রমণ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী যখন মোতায়ন ছিল তখন ঢাকায় ক্যাপ্টেন পদবীর একজন দায়িত্বশীল অফিসার ছাত্রলীগের এক গু'ন্ডা'কে নিয়ম ভঙ্গের অপরাধে ও নিজের ছাত্রলীগ পরিচয় দেয়ায় পিটিয়েছিলেন। এরপর সেই অফিসারের অধিনায়ককে শাস্তি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করে দেয় আজিজ। সেই ক্যাপ্টেনকেও শা'স্তি হিসেবে বদলি করা হয় এবং তার ক্যারিয়ার প্রোফাইলে একটি শা'স্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগের সামান্য একটা গু'ন্ডা ছোকরার সামনে একজন সেনা অফিসারের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করেছিলেন এই আজিজ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধিকাংশ সদস্যই আজিজের এই সিদ্ধান্তে ভীষণ মর্মাহত ও অপমানিত হয়েছিল কিছু পা চাটা আওয়ামী জেনারেল ও সিনিয়র অফিসার ব্যতীত। এসব কারণেই আওয়ামীলীগ এত বাড় বেড়েছিল। আওয়ামী লীগের একটা সাধারণ রাস্তার টোকাই পর্যন্ত অনেক সাহস নিয়ে চলতো। ছাত্রলীগের ছেলেদের এমন ভাব ছিল যে তারা সেনাবাহিনীর জেনারেলদেরকেও গুনতো না, আর মেজর-ক্যাপ্টেনদের কথা তো দূরের কথা! জেনারেল আজিজের মত কু'লা'ঙ্গা'র, আওয়ামীপন্থী, ভারতীয় গোলাম ও মীর জাফর ইকবাল টাইপ জেনারেলদের কারণে সেনাবাহিনীর অফিসারদের মর্যাদা ছাত্রলীগের মতো তুচ্ছ ও নোংরা কু'কু'র'দের কাছে নীচু হয়ে গিয়েছিল। সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা এবং সরকারকে আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই গত ২৩ অক্টোবর ২০২৪ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে গ'ণ'হ'ত্যা'কারী, উ'গ্র, স'ন্ত্রা'সী, মানবতার শ'ত্রু, ইসলামের শ'ত্রু, দুর্নী'তি'বা'জ, চো'র, সকল ধরনের খারাপ এবং সেনাবাহিনীর সম্মান নষ্টকারী গোষ্ঠী ছাত্রলীগকে স'ন্ত্রা'সী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার জন্য। ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্প্রতি (২৪ অক্টোবর ২০২৪) ডি-আওয়ামাইজেশন (De-Awamization) বা আওয়ামীমুক্তকরণ এর বিষয়ে যা বলেছেন তা শুধুমাত্র বেসামরিক পরিমণ্ডলে নয় বরং সামরিক বাহিনীর ভিতরেও প্রয়োজন। হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যের লিংক: https://youtu.be/cJaxd27C6Lc?si=LyNtnNQ5IPWcfCTm
(১০) নিম্নমানের যু'দ্ধ সামগ্রিক ক্রয়ঃ
এছাড়াও অফিসারদের আপত্তি সত্ত্বেও জেনারেল আজিজ ভারতের কাছ থেকে অনেক নিম্নমানের যু'দ্ধসামগ্রী কিনেছেন। ভুক্তভোগী কয়েকজন সিনিয়র অফিসারের কাছ থেকে জানা গিয়েছে যে কয়েকজন অফিসারকে তিনি প্রমোশন দেননি সামগ্রীগুলোর রিভিউ বা চেকিংয়ের সময় ভারতীয় ও তদবীরকৃত কোম্পানির সামগ্রীর আসল বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার কারণে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত সেনাবাহিনীতে ভারতীয় ও তদবিরকৃত কোম্পানির নিম্নমানের যু'দ্ধ সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত করার সাথে জড়িত সকল অফিসার ও সদস্যকে তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করা ও তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র'দো'হিতার মা'ম'লা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া। একদিকে ইসলামী চেতনা, মূল্যবোধ ও ব্যক্তিগত আমলকে ট্যাবু করে জেনারেল আজিজ সেনাবাহিনীর ফাইটিং স্পিরিট ও সক্ষমতা নষ্ট করেছিলেন আর অন্যদিকে নিম্নমানের যুদ্ধ সামগ্রী ক্রয় করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে কার্যকরভাবে একটি প'ঙ্গু সেনাবাহিনীতে রূপান্তর করার কাজ করে গিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীতে নিম্নমানের যু'দ্ধ সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত করা ও এ বিষয়ে জেনারেল আজিজের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে আমরা পরবর্তী 'আজিজনামা'য় প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ।
(১১) জেনারেল আজিজসহ আরো অনেক জেনারেল এবং সিনিয়র অফিসারদের বি'রু'দ্ধে এরকম আরও অসংখ্য দুর্নীতির তথ্য এবং প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে যা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
(চলবে)
আমাদের টিম জানতে পেরেছে যে কোন একজন জেনারেল তার সেনা সদস্যদের একটি বিশেষ দলের মাধ্যমে নানককে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে এটার সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। যদি খবরটি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এই কাজটি ছিল ৫৭ জন শহীদ অফিসারের আত্মার সাথে এবং দেশ ও জাতির সাথে চরম বে'ঈ'মা'নি ও গা'দ্দা'রী। খু'নি নানককে ভারতে পারাপার করে দেয়া সেই জেনারেল এবং অফিসারদের বিস্তারিত তথ্য আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। সেনাসদস্য এবং দেশের জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান রইলো এরকম তথ্য এবং অন্য যেকোন তথ্য পেলে আমাদের সহযোগী টিমকে গোপনে শেয়ার করুন: ইমেইল করুন এই ঠিকানায় cchrwbd@proton.me এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং আপনি আপনার নিজের বা বেনামী যেই আইডি থেকেই তথ্য পাঠান না কেন, সবই গোপন থাকবে ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশে 'র' এর প্রধান ঠিকাদার লেঃ জেনাঃ মুজিবকে যারা পালাতে সহায়তা করেছে তাদের নামও আমরা প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ।
৬। এই পর্ব শেষে সকলের প্রতি আমরা বলতে চাই, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, পরকালে বিশ্বাস এবং আল্লাহর প্রতি ভয় - এই বিষয়গুলোর কারণেই বাংলাদেশ একটি গৃ'হ'যু'দ্ধ এবং গ'ণ'হ'ত্যা থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের জায়গায় জেনারেল আজিজ বা লেঃ জেনারেল মুজিবের মত ধর্মহীন, ইসলাম বি'দ্বে'ষী ও ফ্যাসিস্ট জেনারেল থাকলে বাংলাদেশে ৫ আগস্ট ইতিহাসের ভয়ংকর একটি দিনে পরিণত হতো। ঐদিন হাজার হাজার লা'শ পড়তো এবং অরাজকতা সৃষ্টি হতো বাংলাদেশে। পরকালে বিশ্বাস এবং আল্লাহর প্রতি ভয় না থাকার কারণেই লেঃ জেনারেল মুজিব ও মেজর জেনারেল জিয়ার মত খু'নি নরপিশাচ জেনারেল তৈরি হয়েছে। জিয়াউল আহসান কত মানুষকে যে গু'ম-খু'ন করেছে তার কোন হিসাব নাই। পরকাল ও আল্লাহর ভয় থাকলে কখনোই এভাবে গু'ম ও খু'ন করা সম্ভব না।
৭। তাই, সম্মানিত সরকার ও সেনাপ্রধানের প্রতি আমাদের সবিনীত অনুরোধ; পরকালে বিশ্বাস, আল্লাহর প্রতি ভয় এবং ইসলাম ধর্মকে সঠিকভাবে মেনে চলার কারণে অফিসার ও সৈনিকদের প্রতি সেনাবাহিনীতে যে বৈষম্য, মানসিক দাসত্ব ও নি'র্যা'ত'ন করা হয়, যা বিশেষ করে জেনারেল আজিজের সময় ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছিল, তা আপনারা দূর করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং জেনারেল আজিজের তৈরি করা 'আওয়ামীপ্রেম, ভারতপ্রেম ও ইসলাম বি'দ্বে'ষ' সেনাবাহিনী থেকে বিতাড়িত করবেন, এই আমাদের একান্ত আশা। এছাড়াও ইসলামিক মোটিভেশন থেকে দূরে সরিয়ে ভারত আমাদের সেনাবাহিনীর যে ফা'ই'টিং স্পিরিট নষ্ট করেছে তাও পুনর্বহাল করার অনুরোধ করছি। এতে করে শুধুমাত্র সেনা সদস্যরাই নয় বরং দেশ ও জাতির সর্বোচ্চ মঙ্গল হবে ইনশাআল্লাহ যা ইতোমধ্যে প্রমাণিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন