এক ধর্মের উৎসব আরেক ধর্মের জন্য নয় - khalid Saifullah

khalid Saifullah

আল্লাহর তরবারী

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬

এক ধর্মের উৎসব আরেক ধর্মের জন্য নয়






কাছাকাছি সময়ে এ বছর মুসলমানদের ঈদুল আযহা-কুরবানী এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর যাবতই ঈদ ও পূজা কাছাকাছি সময়ে উদযাপিত হচ্ছে। বর্তমানে শুধু রাজধানী ঢাকাই নয় বরং পুরো বাংলাদেশ জুড়েই পূজার আয়োজন চলে মহা সমারোহে। প্রস্তুত হয় হাজার হাজার পূজামণ্ডপ। এসকল মণ্ডপে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই ভিড় করে না। বরং বহু মুসলমানও যায় পূজা দেখতে, কেউবা আনন্দ উপভোগ করতে। আর বেশি যান নেতা-নেত্রীরা। ছোট থেকে সর্বোচ্চ স্তরের নেতা-নেত্রীগণও যান। অথচ কয়েক বছর আগেও দৃশ্যপট এমন ছিল না।

এদেশের হিন্দুগণ তাদের এই ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন বহু বহু বছর থেকেই। তখন তা সীমিত থাকত ঢাকেশ্বরী মন্দীর ও নির্দিষ্ট কিছু মন্দীর-মণ্ডপ পর্যন্ত। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের একান্ত ধর্মীয় বিষয় বলে মুসলমানরা সেখানে যেত না। সরকারী-বেসরকারী মুসলিম নেতাদের উপস্থিতিও ছিল কম। কিন্তু বিগত কয়েক বছর থেকে যেভাবে পূজো উদযাপন হচ্ছে এবং সর্বপ্রকারের মিডিয়ায় যেভাবে এর প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে তা সম্পূর্ণই ভিন্ন। এখন পূজার সময় মনে হয় না, এটি এদেশের ১০%-১২% নাগরিকের একটি উৎসব। বরং সবকিছু দেখে মনে হতে পারে এ যেন হিন্দু-প্রধান একটি দেশ।

সে যাই হোক। পূজা যাদের, তারা সেটা নিরাপদে আর আনন্দেই পালন করুক। এসমস্ত পূজামণ্ডপে গিয়ে কিংবা পূজাকেন্দ্রিক কোনো উৎসবে উপস্থিত হয়ে জাতীয় নেতাদের কেউ কেউ বিভিন্ন নীতিবাক্য ও উপদেশও উচ্চারণ করে থাকেন। সংখ্যালঘুরা যেন এদেশে বুক ফুলিয়ে চলতে পারেন, তারা যেন তাদের সব অধিকার নিজেরাই আদায় করে নেনÑ সেসব কথাও বলা হয়। বলা হয় তাদেরকে দেয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা এবং তাদের পাশে যে এ দেশের নেতারা সজাগ ও সক্রিয় আছেনÑ সেকথাগুলোও তারা বলেন। এরই সঙ্গে সম্প্রতি তারা আরেকটি কথাও বলতে শুরু করেছেন। সেটি হচ্ছে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কোনো কোনো নেতা বলেছেন, ধর্ম সম্প্রদায়ের উৎসব সকলের। আমাদের আলোচনায় আমরা পূজাকেন্দ্রিক উৎসব নিয়ে নেতাদের মুখে উচ্চারিত এ দুটি বাক্য কিংবা এ দুটি বাক্যের মূলকথা বা নির্যাস নিয়েই কিছু আরয করতে চাই। শুরুতেই আমাদের নিবেদন হচ্ছে, যেহেতু এসব পূজা-উৎসব কিংবা অপর ধর্মীয় কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রটিতে ঈমানের প্রশ্ন জড়িত, তাই এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্লেষণটি শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হওয়াই প্রয়োজনীয়। অন্য কোনো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক তত্ত¡ কিংবা ভাবাবেগের সাহায্য এক্ষেত্রে গ্রহণ করা সমীচীন নয়। সে হিসেবে প্রথমেই আমরা যে কথাটি পেশ করতে চাই সেটি হচ্ছে, সাধারণ যুক্তিতে কিংবা শরীয়তের আলোকে এই বাক্য দুটিকে বাস্তবসম্মত বলে সাব্যস্ত করা যায় না। কারণ, বিগত কয়েক বছর যাবৎ আমরা এই যে কথাটা শুনছি, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এটি কেবল পূজার সময়ই এবং পূজাকে উপলক্ষ করেই বলা হচ্ছে। মুসলমানদের কোনো উৎসব নিয়ে এ জাতীয় বাক্য উচ্চারিত হতে শোনা যায়নি। আর পূজার বিষয়টি সম্পূর্ণই ধর্মীয় বিশ্বাসনির্ভর। যা সংশ্লিষ্ট ধর্মের লোকেরা তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস ও নীতির ভিত্তিতে করে থাকে। এ উপলক্ষে তাদের যে উৎসব-আনন্দ সেটি সম্পূর্ণই পূজাকে কেন্দ্র করে। পূজাকে কেন্দ্র করে ‘প্রতিমা’ তৈরি করা হয়। প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বহু রকম কেনাকাটা ও আয়োজনের সমারোহ চালানো হয়। এভাবেই পূজাকেন্দ্রিক মহা এক উৎসবের ব্যবস্থা হয়। সুতরাং এ উৎসব-আনন্দ আর ধর্মীয় বিশ্বাস প্রত্যেকটাই একটা অপরটার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই এখানে উৎসব-আনন্দের বিষয়টিকে পৃথক করে দেখা এবং পূজার বিষয়টিকে পৃথক করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়গুলো আসলে পৃথক নয়।

যেমনিভাবে মুসলমানদের ঈদুল আযহায় ঈদের নামায ও কুরবানী-প্রধান দুটি কাজ। এই দুই কাজের ওপর ভিত্তি করেই আনন্দ-উৎসব করা হয়। তাই ঈদুল আযহার আনন্দ-উৎসবকে ঈদের নামায ও কুরবানী থেকে পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই। ইসলামের দৃষ্টিতে যে ব্যক্তি ঈদের নামায ও কুরবানী করবে না (ওয়াজিব হওয়া সত্তে¡ও), তার জন্য কোনোক্রমেই ঈদুল আযহার আনন্দ-উৎসব করার অধিকার নেই। সে হিসেবে ঈদুল আযহার ব্যাপারে এখন কেউ যদি বলে, ধর্মীয় কাজগুলো মুসলমানদের হলেও এ উৎসবটা সকলের, স্পষ্টতই তা বাস্তবসম্মত হবে না। তাইতো কোনো ঈদের জামাতের আশেপাশে বা জাতীয় ঈদগাহ ইত্যাদিতে ব্যাপকভাবে কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী বা অন্য ধর্মের লোকদের সমবেত হতে দেখা যায় না। ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার করে বোঝার জন্য ঈদুল আযহা নিয়ে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানসিক অবস্থা বিচার করলেও যথেষ্ট হবে। তাদের কাছে গরু হলো পবিত্র পশু। এই গরু নিয়ে কত করুণ কাণ্ডই না ঘটে যাচ্ছে আমাদের প্রতিবেশি হিন্দু-প্রধান দেশে। সেখানে সরকারী দলের লোকদের হাতে নিহত, নিগৃহীত হচ্ছে সংখ্যালঘু মুসলিম সমাজ। শুধু গরুর গোশত খাওয়ার অপরাধে বা অভিযোগে। এমনকি গরুর পবিত্রতা প্রকাশ করতে গিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ(!) ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে গরুর গোশতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকাশ্যে স্বস্তির বাণী প্রকাশ করেছেন। এ হচ্ছে গরু সংক্রান্ত হিন্দুদের বিশ্বাস। অপরদিকে মুসলমানরা সেদিন গরু যবেহের মাধ্যমে আল্লাহর হুকুম পালন করে আনন্দ করে থাকে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, মুসলমানদের এই আনন্দের দিন ও উৎসবটা হিন্দুদের জন্য আনন্দের নয়। অপরদিকে আমাদের জন্য ঠিকই আনন্দের। উট-দুম্বা-ছাগল-ভেড়া-মহিষ কুরবানীর সুযোগ থাকলেও পাক-ভারত উপমহাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কুরবানী দেওয়া হয় গরু। এজন্য এতদঞ্চলে কুরবানীর ঈদকেও ‘বকরীদ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয। এখানে ‘বকর’ মানে গরু। এতে এ বিষয়টি স্পষ্ট হল যে, এক ধর্মাবলম্বীদের ধর্মভিত্তিক উৎসবকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হিসেবে সাব্যস্ত করা যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না।

এ বিষয়ে মৌলিক ও দ্বিতীয় আরেকটি কথা হচ্ছে, ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের কথা বা আকীদায় বিশ্বাস করার কোনো সুযোগই নেই। কারণ, ঈমান ও ইসলাম হচ্ছে একক ও নিরঙ্কুশ বিষয়। এখানে কোনো প্রকারের মিশ্রণের ন্যূনতম সুযোগ নেই। আমরা যদি আমাদের দুই ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার পটভ‚মির দিকে তাকাই তাহলে বিষয়টি আমাদের সামনে আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে। মদীনায় ইসলামপূর্বে দু’টি উৎসব চালু ছিল। নওরোয ও মেহেরজান নামে। সাহাবীগণ ওই দুটি উৎসব পালন করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পালনের অনুমতি দেননি। বরং এর উত্তম বিকল্প হিসেবে মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র দুটি ধর্মীয় উৎসবÑ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপহার দিয়েছেন। এ থেকে এ সত্যটি অনুধাবন করা যায় যে যদি মুসলমানদের জন্য অন্যদের উৎসব পালন করার সুযোগ থাকতো তাহলে তিনি ওই উৎসব পালন করা থেকে সাহাবীদের বিরত করতেন না।

এ ক্ষেত্রে আরেকটি উদাহরণ আমরা গ্রহণ করতে পারি। সেটি হচ্ছে ১০ মুহাররম বা আশুরার রোযা। ইয়াহুদীদের সাথে যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ বা সাদৃশ্যপূর্ণ না হয়ে যায় সেজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোযার সাথে আগে কিংবা পরে আরো একটি রোযা রাখতে বলেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ধর্ম বা ধর্মানুসারীদের সাথে সাদৃশ্য বা সামঞ্জস্য হওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ হাদীস শরীফে বার বার দেওয়া হয়েছে। ইয়াহুদীদের সাথে সামঞ্জস্য অবলম্বন না করতে কিংবা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে বিভিন্নভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাদীস শরীফে বেশ কিছু ক্ষেত্রে


خالفوا المشركين خالفوا اليهود

(ইয়াহুদীদের সঙ্গে ভিন্নতা অবলম্বন করো, মুশরিকদের কাজকর্মের সাথে ভিন্নতা অবলম্বন কর) বাক্যটি ধ্বনিত হয়েছে। নামাযে আহŸানের ক্ষেত্রে ইয়াহুদী, নাসারাদের ঘণ্টা বাজানো ও সিঙ্গায় ফুঁ দেয়ার প্রথা গ্রহণ না করা, অভিভাদনের ক্ষেত্রে হস্ত উঠানোর বিকল্প হিসাবে সালামকে গ্রহণ করা, সপ্তাহের পবিত্র দিন হিসেবে শনি, রবির পরিবর্তে জুমা বারকে গ্রহণসহ এ ধরনের বহু ক্ষেত্র বিদ্যমান যেখানে ইসলামের কার্যকলাপকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের থেকে পৃথক করা হয়েছে।

তৃতীয়ত পূজার বিষয়টিকে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে যে কোনো মুসলমানের কাছেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে তার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতারই সুযোগ কোনো মুসলমানের নেই। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের শুরুর যুগে এ জাতীয় ধর্মাচারের বিরোধিতা করেই ইসলামের তাওহীদ তথা একত্ববাদের দিকে মানুষকে আহŸান করেছেন। এবং সকল প্রকারের মূর্তি ও পূজাকে শিরিক আখ্যা দিয়ে তা থেকে বেঁচে থাকার তাগিদ দিয়েছেন। সুতরাং আকীদাগত বা বিশ্বাসগত দিক থেকে একজন মুওয়াহহিদ (একত্ববাদী মুসলিম)-এর জন্য পূজা-জাতীয় ধর্মাচারের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, সমর্থন করা এবং সেটিকে নিজের উৎসবের বিষয় মনে করার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই।

তবে এক ধর্মের সাথে অপর ধর্মের অনুসারীদের সহাবস্থান এবং অন্য ধর্মের অনুসারীদের আপন আপন পূজা-আরাধনা নির্বিঘেœ পালন করতে সহযোগিতার বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত পরিষ্কার। ইসলাম এতে পূর্ণ সমর্থন দেয় ও দায়িত্ব গ্রহণ করে। মাসিক আলকাউসারে এ বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন সময়েই আমরা আলোচনা করেছি। ইসলামের স্পষ্ট নীতি হচ্ছে, যে কোনো ধর্মাবলম্বী নিজস্ব গণ্ডির মধ্যে তার ধর্ম পালন করুক। নিজস্ব পরিধির মধ্যে তার ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা তার রয়েছে। ইসলাম এক্ষেত্রে কোনো প্রকার অসহযোগিতা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না। বরং তাদের নিজস্ব গণ্ডির ভেতরে থেকে এগুলো পালন করার জন্য ইসলামী সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও দেয়া হয়েছে ইসলামী খেলাফতের সময়গুলোতে। হযরত উমর রা. তাঁর শাসনামলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের كنيسة (কানীসা) বানানোর সুযোগও দিয়েছেন। সুতরাং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার এবং ধর্মীয় আচার-আচরণকে এক করে দেখার পেছনে যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ নেই। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, প্রত্যেক ধর্মের নিজস্ব। এ উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব ও আনন্দও তাদের নিজস্ব। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যদের ধর্মীয় কাজে যোগ দেওয়া, সেগুলোকে পছন্দ করা, সে উৎসবকে নিজের উৎসব মনে করার কোনো একটি বিষয়ই শরীয়ত কর্তৃক সমর্থিত নয়।

মূলত অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সহাবস্থান, নিজস্ব পরিধির মধ্যে তাদের ধর্মপালন ও পালনের অধিকার একটি সমর্থিত ও স্বীকৃত বিষয়। এটি ইসলামেরই নীতি। কিন্তু অপর ধর্মের ধর্মীয় আচার এবং ধর্মভিত্তিক উৎসবকে নিজের উৎসব মনে করা কিংবা সে উৎসবে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে অংশ নেয়া সম্পূর্ণ অসমর্থিত, অযৌক্তিক ও বাস্তবতাবহিভর্‚ত। মূর্তিপূজা সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান-উৎসবে কোনো মুসলমানের পক্ষে এভাবে একাত্মবোধ করার কোনো অবকাশই নেই। এটা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা এবং ভিত্তিগত চেতনারও বিরোধী।


পরিশেষে দু’তিনটি হাদীস ও আসার পেশ করে নিবন্ধ শেষ করছি। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করছেন,

من تشبه بقوم فهو منهم

‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভ‚ক্ত বলে গণ্য হবে।’ Ñসুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪০৩১

অন্য একটি বর্ণনায় খলীফা হযরত উমর রা. বলেছেন, اجتنبوا أعداء الله في عيدهم তোমরা আল্লাহর দুশমনদের উৎসবগুলোতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাক। Ñআস্সুনানুল কুবরা, হাদীস ১৮৮৬২

অন্য বর্ণনায় তিনি এর ব্যাখ্যায় বলেছেন ‘কারণ এক্ষেত্রে আল্লাহর অসন্তুষ্টি নাযিল হয়ে থাকে।’ আরেকটি বর্ণনায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেছেন

من بنى ببلاد الأعاجم وصنع نيروزهم ومهرجانهم وتشبه بهم حتى يموت وهو كذلك، حشر معهم يوم القيامة.

অর্থাৎ যারা বিধর্মীদের মত উৎসব করবে, কিয়ামত দিবসে তাদের হাশর ঐ লোকদের সাথেই হবে। Ñআস্সুনানুল কুবরা, হাদীস ১৫৫৬৩

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। এবং সকল শিরক-মিশ্রণ হতে মুক্ত থেকে খালেছ মিল্লাতে ইব্রাহীমীর ওপর অবিচল থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন। 



কোন মন্তব্য নেই:

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages