LIFE OF BIN LADEN--বিশ্ব মৌলবাদী সন্ত্রাসের নেপথ্য নায়ক --বিন লাদেন --জীবনের কিছু স্মৃতি।--পর্ব--(৫) - khalid Saifullah

khalid Saifullah

আল্লাহর তরবারী

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬

LIFE OF BIN LADEN--বিশ্ব মৌলবাদী সন্ত্রাসের নেপথ্য নায়ক --বিন লাদেন --জীবনের কিছু স্মৃতি।--পর্ব--(৫)


এসব জিহাদীদের শিবিরে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবককে গেরিলাযুদ্ধের ট্রেনিং দেয়া হতো। এই স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকে তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিল। আফগানিস্তানে আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বিন লাদেনের প্রথম সমস্যাটির আংশিক সমাধান হয়ে যায়। তিনি একটা তৈরি সেনাবাহিনী পেয়ে যান। আফগানিস্তানে বিন লাদেনকে সাহায্য করার জন্য তাঁর চার পাশে অসংখ্য লোক এসে জড়ো হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো ছিল কয়েক ডজন প্রবাসী মিসরীয় কট্টোর ধর্মানুরাগী মুসলিম। এদের মধ্যে ছিলেন ৩৭ বছর বয়স্ক শল্য চিকিৎসক ও মিসরের আল-জিহাদ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আইমান আল জাওয়াহিরি। আরেকজন ছিলেন ঐ গ্রুপেরই লৌহমানব ও সুযোগ্য সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ আতেফ। আল জাওয়াহিরি বিন লাদেনকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধের রাজনৈতিক বাস্তবতা সম্পর্কে শিখিয়েছিলেন। আর মোহাম্মদ আতেফ তাকে সামরিক ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো একান্ত প্রয়োজন সে গুলোর গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন। বেশ কিছু নিরাপত্তাগত ঝুঁকি দেখা দেয়ার পর বিন লাদেন তার আবাসস্থল জালালাবাদের দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলের তোরাবোরা নামক একটি স্থানে এক প্রাক্তন মুজাহিদ ঘাঁটিতে সরিয়ে নেন। মহানুভবতা প্রথম প্রথম নিজেকে একটু আড়ালে-অন্তরালে রাখতেন ওসামা বিন লাদেন। কখনই পাদপ্রদীপের আলোয় আসতেন না তিনি। পাকিস্তানী সাংবাদিকদের মনে আছে, আশির দশকের প্রথম দিকে তারা একজন সৌদি শেখ সম্পর্কে অনেক রকম কাহিনী শুনেছিলেন। এই শেখ পেশোওয়ার শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে আহত যোদ্ধাদের দেখতে আসতেন । তাদেরকে কাজুবাদাম, চকোলেট উপহার দিতেন। তাঁদের নাম ঠিকানা টুকে নিতেন। ক’দিন পরই মোটা অঙ্কের একটা চেক পৌঁছে যেত তাদের পরিবারের হাতে। এধরনের মহানুভবতা সম্ভবত বাবার কাছে শিখেছিলেন ওসামা বিন লাদেন। কারণ, বাবাকে মাঝে মাঝে গরিবদের মধ্যে থোকা থোকা নোট বিলাতে দেখতেন তিনি। যারা লাদেনের জন্য লড়েছেন কিংবা লাদেনের পাশে দাঁড়িয়ে লড়েছেন তাঁদের প্রায় সবাইকে বিন লাদেনের এই মহানুভবতার কথা উল্লেখ করতে শোনা গেছে। কেউ কেউ জানিয়েছেন যে বিয়ের জন্য দেড় হাজার ডলার দান পেয়েছেন বিন লাদেনের কাছ থেকে। আবার কেউ বলেছেন জুতা বা ঘড়ি কেনার জন্য বিন লাদেনের কাছ থেকে নগদ অর্থ সাহায্য পেয়েছেন। তাঁর অনুসারীরা বলেন, বাইআ’ত বা শপথ উচ্চারণের যে কাজ এধরনের দান-সাহায্য বা উপহারও সেই একই কাজ করেছে। তাঁদের আমীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। বিন লাদেনের সময় ছিল তাঁর অর্থের মতোই মূল্যবান। তা সত্ত্বেও যে কাউকে যে কোন রকম সাহায্য করতে তিনি কখনই বিমুখ হতেন না। একজন আফগান মুজাহিদ স্মরণ করেছেন কিভাবে বিন লাদেনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। সেই মুজাহিদ একবার আরবী শিখতে চাইলেন। বিন লাদেন সে সময় ব্যস্ত ছিলেন। তথাপি এই সৌদি যুবক তাঁকে কুরআনের ভাষা- আরবী ভাষা শিখানোর কাজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করেছিলেন। বিন লাদেন একজন র‌্য ডিক্যাল বা কট্টোর ধর্মানুরাগী হিসেবে সুপরিচিত। তথাপি আচার-ব্যবহারে তিনি বরাবরই শান্ত, নম্র ও মিতভাষী। যেমনটি তিনি ছেলেবেলায় ছিলেন; বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর শিক্ষকরা। ১৯৮৪ সালে বিন লাদেন ও আয্যাম পেশোয়ারের শহরতলিতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে নগরীতে আগমনরত হাজার হাজার আরব মুজাহিদের জন্য একটি সরবরাহ ঘাঁটি স্থাপন করেন। এবং সেটার নাম দেন বায়তুল আনসার বা বিশ্বাসীদের গৃহ। বিন লাদেন সেখানে আরব স্বেচ্ছসেবকদের গ্রহন করতেন। তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করে দেখতেন। তার পর বিভিন্ন আফগান সংগঠনের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। বিন লাদেনের এসব কাজ-কর্ম “সিআইএ” পাকিস্থানের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএস আই” এবং সৌদি গোয়েন্দা সংস্থা “ইশতেকবরাতের” জানা ছিল। কিন্তু এদের সকলেই এগুলো দেখেও না দেখার ভান করে ছিল। তবে এদের কেউই বিন লাদেনকে আমেরিকান সাহায্য দেয়নি। কোনভাবেই না। এখানে একটা কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান শাহজাদা তুর্কী আল ফয়সাল হলেন বিন লাদেনের সহপাঠী ও বাল্যবন্ধু। সে সময় তিনি এ পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। “বায়তুল আনসার” কার্যালয়টি ছিল সৈয়দ জামালুদ্দীন আফগানী সড়কের পাশে। এলাকাটি শান্ত, নিস্তরঙ্গ। চারদিকে বোগেইন ভিলার গাছ এবং স্থানীয় অভিজাতদের বড় বড় বাড়ি। আশির দশকের মাঝামাঝি এলাকাটি আফগান প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। বিভিন্ন সংগঠন সেখানে অফিস খুলে বসেছিল। ওখান থেকে দু’টো খবরের কাগজ বের হতো যার একটির প্রকাশক ছিলেন আব্দুল্লাহ অয্যাম ও বিন লাদেন। একটা নিউট্রাল বা নিরপেক্ষ অফিসও ছিল ওখানে। অফিসটা ছিল বিন লাদেনের ভাড়া নেয়া একটা ভবন, যেখানে বসে মুজাহিদ সংগঠনের নেতারা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের তাদের মতপার্থক্য দূর করতে পারতেন। ওখানকার পরিবেশ ছিল ক্লেশকর। আরাম-আয়েশের কোন ব্যবস্থাই ছিলনা ওখানে। অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবেই এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। বিন লাদেনসহ দশ-বারোজন স্বেচ্ছাসেবক মিলে একটা রুমে ঘুমাতেন। অফিস রুমের কঠিন মেঝেতে পাতলা তোশক বিছিয়ে শয্যা রচনা করা হতো। বিন লাদেন গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে বসে ইসলাম ও মধ্যপ্রচ্যের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতেন। তখন পর্যন্ত বিন লাদেনের মধ্য র‌্য ডিক্যাল ভাবাদার্শ গড়ে ওঠেনি। বরং তাঁর তখনকার চিন্তাধারার মধ্যে খানিকটা ইতিহাসের স্মৃতি এবং খানিকটা চলমান ঘটনার ভুল ও অসম্পূর্ণ তথ্যনির্ভর বিশ্লেষণে মিশেল ছিল। বিন লাদেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আরবদের সঙ্গে বৃটেনের বিশ্বাসঘাতকতায় বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন। সৌদি রাজপরিবারের উপরও তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন। এবং বলতেন যে ক্ষমতা করায়ত্ব করার জন্য তারা ওহাবীদেরকে কাজে লাগিয়েছে। বিন লাদেন স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ধর্মীয় বিতর্ক পরিচালনা করতেন। অনেক সময় বিতর্কের বিয়বস্তু হতো “সূরায়ে ইয়সিন”। ইসলামী ইতিহাসের বীর যোদ্ধাদের নিয়ে অনেক আলোচনা করতেন তিনি। সালাহুদ্দীন আইয়ূবীর কথা বলতেন। বলতেন অন্য বীরদের কাহিনী। এভাবে যেন তিনি নিজেই নিজেকে বৃহত্তর কোন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলেছিলেন। ধর্মীয় অনুরাগ সুদানে নির্বাসিত জীবনযাপন শুরুর আগেই আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধে বিন লাদেন অসমসাহসিকতার বেশ কিছু স্বাক্ষর রেখেছিলেন। কট্টোরপন্থী সংগঠন হিজবে ইসলামীর এক নেতা জানান যে, তিনি নিজে দেখেছেন একবার সোভিয়েত সৈন্যদের দ্বারা অবরুদ্ধ হবার পর প্রচন্ড গোলাবর্ষণের মুখে বিন লাদেন কিভাবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছিলেন। বর্তমানে বিন লাদেনের ঘোরবিরোধী এমন অনেকেও যোদ্ধা হিসাবে তাঁর বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিবরণ দিয়েছেন। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি যে আদৌ ভাবতেন না সে কথা তাঁদের সবাই উল্লেখ করেছেন। এভাবে একজন ধর্মপ্রাণ যুবক ক্রমান্বয়ে একজন সাচ্চা জিহাদীতে পরিণত হন। বিন লাদেনের ধর্মীয় অনুরাগ তার লোকদেরকেও প্রভাবিত করেছিল। ওসামার নিজের বর্ণিত একটি ঘটনায় তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

ঘটনাটি ছিল ১৯৮৯ সালে পূর্বাঞ্চালীয় নগরী জালালাবাদ দখলের লড়াইয়ের সময়কার। ওসামার নিজের ভাষায়: “আমি তিনজন আফগান ও তিনজন আরবকে এনে একটা অবস্থান দখল করে রাখতে বললাম। তারা সারা দিন লড়াই চালাল। সন্ধ্যায় তাদের অব্যাহতি দেয়ার জন্য আমি ফিরে গেলে আরবরা কাঁদতে শুরু করে দিল। বলতে লাগল তারা শহীদ হতে চায়। আমি বললাম ওরা যদি এখানেই থেকে গিয়ে লড়াই চালিয়ে যায় তাহলে তাদের মনোবাঞ্ছনা পূরণ হতে পারে। পরদিন তারা সবাই শহীদ হল।” ওসামা পরে বলেন, তিনি তাদের বুঝিয়েছিলেন যে রণাঙ্গনের ট্রেঞ্চই হলো তাদের বেহেশতে যাবার পথ। সঙ্গী ও অনুসারীদের সাথে অনেক দিক দিয়ে নিজের কোন পার্থক্য রাখতেন না ওসামা বিন লাদেন। তিনি যে এত ধনী ছিলেন কিংবা একজন কমান্ডার ছিলেন অনেকেই তা জানত না। সবার সাথে বন্ধুর মতো একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করতেন ও ঘুমাতেন তিনি। কখনও কখনও আফগানদের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ মেটানোর জন্য নিজ উদ্যোগে সমঝোতার চেষ্টা চালাতেন। আফগান প্রতিরোধযুদ্ধে মুজাহিদ যোগান দেয়ার যে দায়িত্ব তিনি নিজ উদ্যোগে গ্রহণ করেছিলেন তা অব্যাহত থাকে। সিআইএ সূত্রে হিসাব করে দেখা গেছে যে, জিহাদের জন্য আফগানিস্তানে বছরে তিনি ৫ কোটি ডলার সাহায্য নিয়ে এসেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী এক যোদ্ধার কাছ থেকে জানা যায় জালালাবাদ দখলের লড়াই চলাকালে তিনি পথের পাশে ধূলি ধূসরিত বিন লাদেনকে মুজাহিদদের জন্য খাদ্য, কাপড়চোপড়, বুট জুতা প্রভৃতি সরবরাহের আয়োজন করতে দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর মতো ইসলামী চিন্তাধারার অনুসারী যিনি নন তাঁর সঙ্গে বিন লাদেনের কিছুতেই বনিবনা হতো না। সৈয়দ মোহাম্মদ নামে আরেক আফগান মুজাহিদ জানান, একবার এক যুদ্ধে বিন লাদেন তাঁর সঙ্গে কোন রকম সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান। কারণ শুধু একটাই- তিনি দাড়ি-গোফ সম্পূর্ণ কামানো ছিলেন। আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় বিন লাদেন মিডিয়ার শক্তিটা টের পেতে শুরু করেছিলেন। আফগানযুদ্ধে তাঁর ভূমিকার বিভিন্ন কাহিনী পেশোয়ারস্থ আরব সাংবাদিকদের হাত হয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এর অনুকূল প্রভাব পড়ে। বন্যার ঢলের মতো দলে দলে স্বেচ্ছাসেবক এসে জড়ো হতে থাকে তাঁর পিছনে। তাঁর প্রতি লোকে শ্রদ্ধায় মাথা নত করে। এমন মর্যাদা এর আগে আর কখনও লাভ করেননি বিন লাদেন। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যায়। কাবুলে রেখে যায় এক পুতুল সরকার। আফগানিস্তানে এবার শুরু হয় নতুন লড়াই। সে লড়াই আফগানদের নিজেদের মধ্যে- মুজাহিদে মুজাহিদে লড়াই। এ অবস্থায় আরব আন্তর্জাতিক ব্রিগেডের যুদ্ধে পোড়খাওয়া হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক সৈনিকের আফগানিস্তানের মাটিতে পড়ে থাকার আর কোন কারণ ঘটেনি। তাদের অনেকেই জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আফগানিস্তান থেকে নিজ নিজ দেশে পাড়ি জমায়। আফগানদের এই ভ্রাতৃঘাতী লড়াই থেকে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বিন লাদেনও পাড়ি জমান নিজ দেশে। সত্যি বলতে কি, তিনি এই ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ লক্ষ্য করে অতিমাত্রায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। নিজে অতি সৎ, অতি বিশ্বস্ত মানুষ বিন লাদেন। আফগানদের আত্মকলহে লিপ্ত হতে দেখে তিনি অত্যন্ত পীড়িত বোধ করেছিলেন। তিনি এ সময় তাদের বলেছিলেন যে সোভিয়েতের মতো একটা পরাশক্তিকে তাঁরা লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য করেছেন শুধু একটি কারণে- তাঁরা নিজেরা ছিলেন ঐক্যবদ্ধ এবং তাঁদের ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়েছিল। একতাবদ্ধ না থাকলে এ বিজয় অর্জন তাঁদের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব ছিল না। এত বড় বিজয়ের পর আফগানদের নিজেদের মধ্যে নতুন করে রক্তক্ষরণ দেখে হতাশার গ্লানি নিয়ে বিন লাদেন ফিরে যান স্বদেশ সৌদি আরবে। তখন তাঁর বয়স ৩৩ বছর। সময়টা ১৯৯০- এর শরৎ। সৌদি আরবের প্রকৃত শাসক প্রিন্স আবদুল্লাহ যুবক ওসামা বিন লাদেনের কাঁধে তাঁর নরম থলথলে হাতটা রাখলেন। মৃদু হাসলেন। বন্ধুত্ব ও আনুগত্যের কথা বললেন। তাঁর কথাগুলো মধুর শোনাচ্ছিল। তাঁর মধ্যে আপোসের সুর ছিল। তবে সন্দেহ নেই সেসব কথার আড়ালে লুকিয়ে ছিল কঠিন কঠোর হুমকি। ---চলমান

 পুরাতন পর্বগুলো


  part 1

 Part 2

Part 3

Part 4

1 টি মন্তব্য:

নামহীন বলেছেন...

জাজাকাল্লাহ খাইর

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages