Ad Code

Responsive Advertisement

সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

ইমাম নব্বীর চল্লিশ হাদিস পার্ট ২




১১। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্নেহাস্পদ দৌহিত্র আবূ মুহাম্মাদ হাসান ইবনু আলী ইবনু আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন:
 “আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে এ কথা শুনে স্মরণ রেখেছি:  সন্দেহযুক্ত বিষয় বর্জন করে সন্দেহমুক্ত বিষয় গ্রহণ কর।

”[তিরমিযী: ২৫২০, নাসায়ী: ৫৭১১,
আর ইমাম তিরমিযী বলেছেন: হাদীসটি হাসান সহীহ]


১২। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন-রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:“অনর্থক অপ্রয়োজনীয় বিষয় ত্যাগ করাই একজন ব্যক্তির উত্তম ইসলাম।

”[হাদীসটি হাসান।
 তিরমিযী: ২৩১৮, ইবনু মাজাহ: ৩৯৭৬]


১৩। আবূ হামযাহ্ আনাস ইবনু মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাদেম-হতে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।
” [বুখারী: ১৩, মুসলিম: ৪৫]


 ১৪। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

“কোন মুসলিমের রক্তপাত করা তিনটি কারণ ব্যতীত বৈধ নয়- বিবাহিত ব্যক্তি যদি ব্যভিচার করে, আর যদি প্রাণের বদলে প্রাণ নিতে হয়। আর যদি কেউ স্বীয় দ্বীনকে পরিত্যাগ করে মুসলিম জামা‘আত হতে আলাদা হয়ে যায়।
” [বুখারী: ৬৮৭৮, মুসলিম: ১৬৭৬]


১৫। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

 "যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতে ঈমান রাখে, তার উচিত হয় উত্তম কথা বলা অথবা চুপ থাকা। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতে ঈমান রাখে, তার উচিত আপন প্রতিবেশীর প্রতি সদয় হওয়া। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতের উপর ঈমান রাখে, তার উচিত আপন অতিথির সম্মান করা।
" [বুখারীঃ ৬০১৮, মুসলিমঃ ৪৭]


১৬। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে-
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল: আমাকে কিছু উপদেশ দিন।
তিনি বললেন: রাগ করো না। লোকটি বার বার রাসূলের নিকট উপেদশ চায় আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: রাগ করো না।
[বুখারী: ৬১১৬]





১৭। আবূ ইয়া‘লা শাদ্দাদ ইবনু আওস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 
নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ সমস্ত জিনিস উত্তম পদ্ধতিতে করার বিধান করে দিয়েছেন। 

সুতরাং যখন তুমি হত্যা করবে, তখন উত্তম পদ্ধতিতে হত্যা করবে আর যখন তুমি যবেহ্ করবে, তখন উত্তম পদ্ধতিতে যবেহ্ করবে। তোমাদের প্রত্যেকের আপন ছুরি ধারালো করে নেয়া উচিত ও যে জন্তুকে যবেহ্ করা হবে তার কষ্ট লাঘব করা উচিত।
[মুসলিম: ১৯৫৫]


 ১৮। আবূ যার জুনদুব ইবনু জুনাদাহ্ এবং আবূ আব্দুর রহমান মু'আয ইবনু জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত আছে, তারা বলেন, 
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: <صلى الله عليه وسلم>তুমি যেখানে যে অবস্থায় থাক না কেন আল্লাহকে ভয় কর এবং প্রত্যেক মন্দ কাজের পর ভাল কাজ কর, যা তাকে মুছে দেবে; আর মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার কর।

[তিরমিযী: ১৯৮৭, এবং (তিরমিযী) বলেছেন যে, এটা হচ্ছে হাসান হাদীস। কোন কোন সংকলনে এটাকে হাসান সহীহ্ বলা হয়েছে।]


১৯। আবূ আব্বাস আব্দুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণনা করেছেন- একদিন আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পিছনে ছিলাম, তিনি আমাকে বললেন:

"হে যুবক! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শেখাবো- আল্লাহকে সংরক্ষণ করবে[1] তো তিনি তোমাকে সংরক্ষণ করবেন, আল্লাহকে স্মরণ করলে তাঁকে তোমার সামনেই পাবে।

যখন কিছু চাইবে তো আল্লাহর কাছেই চাইবে; যখন সাহায্য চাইবে তো আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইবে। জেনে রাখ, সমস্ত মানুষ যদি তোমার কোন উপকার করতে চায় তবে আল্লাহ্ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তা ব্যতীত আর কোন উপকার করতে পারবে না। আর যদি সমস্ত মানুষ তোমার কোন অনিষ্ট করতে চায় তবে আল্লাহ্ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ব্যতীত আর কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। কলম তুলে নেয়া হয়েছে এবং পৃষ্ঠা শুকিয়ে গেছে।

"[তিরমিযী: ২৫১৬, হাদীসটি সহীহ্ (হাসান) বলেছেন।]

তিরমিযী ছাড়া অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে:"আল্লাহকে স্মরণ করবে তো তাঁকে তোমার সম্মুখে পাবে, তুমি স্বচ্ছল অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করবে তো তিনি তোমাকে কঠিন অবস্থায় স্মরণ করবেন। মনে রেখো- যা তুমি পেলে না, তা তোমার পাবার ছিল না, আর যা তুমি পেলে তা তুমি না পেয়ে থাকতে না। আরো জেনে রাখো- ধৈর্য্য ধারণের ফলে (আল্লাহর) সাহায্য লাভ করা যায়। কষ্টের পর স্বাচ্ছন্দ আসে। কঠিন অবস্থার পর স্বচ্ছলতা আসে।



"[1] আল্লাহ্‌কে সংরক্ষণ করার অর্থ, আল্লাহ্‌র তাওহীদ ও অধিকার সংরক্ষণ। আল্লাহ্‌র আদেশ নিষেধ ও শরী‘আতের বিধি-বিধানের সীমারেখা সংরক্ষণ। [সম্পাদক]






২০। আবূ মাসউদ উকবাহ্ ইবনু আমর আল-আনসারী আল-বদরী রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

"অতীতের নবীগণের কাছ থেকে মানুষ একথা জানতে পেরেছে- যদি তোমার লজ্জা না থাকে তাহলে যা ইচ্ছা তাই কর।
"[বুখারী: ৩৪৮৩]


মন্তব্যসমূহ

Ad Code

Responsive Advertisement