আওয়ামী দুঃশাসনের অন্তরালে, পর্ব-২ - khalid Saifullah

khalid Saifullah

আল্লাহর তরবারী

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

আওয়ামী দুঃশাসনের অন্তরালে, পর্ব-২

 


কদমবুচি জেনারেল-১ 


ভ'য়ংকর অ'পরাধী মেজর জেনারেল মাহবুব ও মেজর জেনারেল জিয়া মিলে সেনা অভ্যুথানের ব্যর্থ চেস্টা ও অ'বৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা প্রসংগে। 


English Nomenclature & Posting:

BA-4030, Major General Md Mahbubur Rashid, SPP, ndu, psc; 24LC; Ex GOC 55 Infantry Division, Jashore

Currently Posted as DG DGDP

Link: https://dgdp.gov.bd/officers-list


১। মেজর জেনারেল মাহবুব ২০২২ থেকে ২০২৪ এর আগষ্ট পর্যন্ত ৫৫ পদাতিক ডিভিশন এর জিওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি পালিয়ে যাওয়া খু'নী ও স্বৈ'রা'চারিনি অ'বৈধ প্রধানমন্ত্রীকে পা ছুয়ে সালাম করেছেন। একজন সেনা অফিসার হিসেবে এর চেয় পদলেহনকারী আর কি হতে পারে? তাকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা অনেকের ভাষ্যমতে এ জেনারেল মাহবুব সাহেব বরখাস্ত জেনারেল জিয়ার চেয়েও অধিক ভ'য়ংকর, তারা উভয়ই ২৪ বিএমএ লং কোর্সের একে অপরের কোর্সমেট। তিনি জিয়ার মত অথর্ব এবং মেধাহীন নন। তিনি অত্যান্ত যোগ্য ও খু'নী হাসিনার খুব কাছের বিধায়ই অনেক বছর লন্ডনের ডিএ ছিলেন। তার ইআই লেভেল অনেক উন্নত।  খু'নী ও ট্রা'ন্স'জে'ন্ডার হাসিনা যেমন মিথ্যা, প্রতা'র'নায় বিশেষ দক্ষ। এ জেনারেল তার চেয়েও মনে হয় বেশি দক্ষ। তিনি তার প্র'তা'রণা ও জাদুময় কথার দ্বারা তার প্রিয় কিছু সেনা অফিসারদের নিয়ে যেকোন সময় একটা কু করে ফেলতে পারেন। জিয়ার একচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু তিনি আবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ জন্যই হয়তো জিয়া রি'মা'ন্ডে হাসছেন যে তার বন্ধু তাকে উদ্ধার করবে আর এদের সাথে ডা'ইনি হাসিনার পালাতক পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব, আনসার, SPBN ও আওয়ামিলীগ-ছাত্রলীগ ক্যা'ডা'ররা তো আছেই। শুধু কি তাই, সেনাবাহিনীতে যাদের বি'রুদ্ধে তদন্ত চলছে সে সকল অফিসাররাও তার নেতৃত্বের আশায় হয়তো বসে আছেন। মনে রাখবেন হাসিনার প্রায় ফুল ক্যবিনেট ইন্ডিয়াতে আছেন। শুধু কেহ একজন এ নরম সরকারকে হালকা ধাক্কা দিলেই তারা আসতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতিবেশির ফুল সাপোর্ট পাওয়া তো নিশ্চিত।  খুনী জেনারেল জিয়াকে আর্মিতে সবাই খারাপ জানে কিন্তু এ জেনারেলকে সবাই খারাপ জানেনা বরং তার একটা ভালো ফেস কভার আছে কারণ তার কর্মকাণ্ড অদৃশ্য থাকে এবং তিনি খুবই ধূর্ত ও চতুর প্রকৃতির । এটা অসম্ভব নয় এবং মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায় যে, তার সাথে বাংলার ইতিহাসের সেরা ফেরআউনি হাসিনার সাথে এখনো যোগাযোগ আছে। ৫৫ ডিভিশনে থাকাকালীন তিনি তার প্রিয় অফিসারদের নিয়ে ছবি তুলে সরাসরি ডা'ইনি হাসিনাকে পাঠান এবং হাসিনা ফোন করে ছবির জন্য আনন্দ প্রকাশ করেন। সেনানিবাসের সকল অফিস থেকে খু'নি হাসিনা ও তার স'ন্ত্রা'সী বাপের ছবি নামানো হলেও তিনি নামান নি। তাকে সসম্মানে বিদায় দেয়া হয়েছে কিন্তু বিদায় বক্তব্যেও তিনি ছাত্র জনতার এ বিপ্লবকে গ্রহন করতে পারেন নি, নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। খু'নী হাসিনার সহযোগী ও পায়ে সালামকারী হিসাবেই অবশ্যই তাকে বরখাস্ত করা উচিৎ, তথাপি অধিকতর ন্যায় বিচারের সার্থে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো  তদন্ত করে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া প্রয়োজন। 


২। ৫ আগষ্ট ২য় স্বাধীনতা লাভ হলো। 

৬ আগষ্ট এই কদমবুচি জেনারেল লেবুখালীতে তার ডিভিশনের অধীনস্থ কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল ফাহিম, ৯ বেংগল ল্যান্সারসকে আদেশ দিলেন সকল ব্যাটেল ট্যাংক প্রস্তুত করার জন্য। সাধারনত সকল ট্যাংক সচল থাকে না বা একত্রে কোথাও মুভ করে না কিন্তু ঐ দিন সকল ট্যাংক সচল করা হয়েছিল কোন প্রকার লিখিত আদেশ ছাড়াই। কোন এক সেনা সদস্য জিজ্ঞেস করলেন এগুলো কোথায় যাবে?  উত্তর আসলো ঢাকা যাবে। এমন স্পর্শকাতর সময় ট্যংক কোনভাবেই প্রস্তুত করার কথা নয়।  সেনা সদস্যের সন্দেহ হলে তিনি তদন্ত করে জানতে পারলেন যে, ঐ ইউনিটের সিও ফাহিম যিনি কি'লার ফাহিম নামে পরিচিতি লাভ করেছেন, তিনি খু'নী জেনারেল জিয়ার খুবই কাছের লোক।  জানা যায় তিনি জিয়ার আদেশে অনেক কিছুই করেছেন।  জিয়া র‌্যাবে থাকাকালীন ফাহিমও ৪ বছর র‌্যাবে ছিলো। পরবর্তীতে ফাহিমকে নিয়েই জেনারেল জিয়া এনটিএমসির দায়িত্ব গ্রহন করেন যেখানে ফাহিম অপারেশন অফিসার হিসাবে নিয়োজিত থেকে জিয়ার সকল অপকর্ম কার্যকর করতো।  সুতরাং  জেনারেল জিয়া তার বিশেষ অনুগত ফাহিমকে আদেশ দিয়েছেন রেডি হয়ে ঢাকায় মুভ করতে। কারন সম্ভবত জিয়া ক্যু করে মার্শাল ল জারি করার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তার সাপোর্টে ফাহিমের ইউনিটের সকল ট্যাংক নিয়ে ঢাকায় হাজির হবার পরিকল্পনা করেছিলেন। বিষয়টি অতিদ্রুত তদন্ত করা প্রয়োজন।  আশা করি অপারেটররা সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন।


৩। প্রশ্ন হচ্ছে জিওসি ৫৫ ডিভিশন মেজর জেনারেল মাহবুব কি জিয়ার ক্যু প্ল্যান জানতেন না? ৯ বেংগল ল্যান্সারের অপারেশন এলাকা এবং ইউনিট এলাকার প্রহরীর দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায় যে জেনারেল মাহবুব ৫ আগষ্ট এর আগে অর্থাৎ সেনা মোতায়েনের পর থেকেই নিয়মিত বেংগল ল্যান্সার পরিদর্শন করতেন।  অপারেশন এলাকা ছাড়াও ইউনিটে ফাহিমের সাথে দেখা করতে ৫ আগষ্টের আগে মেইন গেট দিয়ে আসতেন এবং পরবর্তীতে পিছনের গেট (গ্যারিসন মাসজিদের পাশ দিয়ে) আসতেন। যাই হোক, সাহসী ও বাংলার ইতিহাসের নতুন নায়ক  সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের দ্রুত সিদ্ধান্তে মেজর জেনারেল জিয়া বরখাস্ত হবার কারনে হয়তো বিষয়টি আর বাস্তবায়িত হয়নি। জাতি এক বিশাল হ'ত্যা'কান্ড থেকে রক্ষা পেয়েছে।  কিন্তু এ ভ'য়ং'কর স্বৈ'রা'চারী ও তার সহযোগীরা কি থেমে আছে???   


৪। এই মেজর জেনারেল মাহবুব কে?

 ইনি খু'নী ও ট্রা'ন্স'জে'ন্ডার হাসিনার দুই চোখের এক চোখ (Apple of her two eyes)।  অন্য চোখ হলো খু'নি মেজর জেনারেল জিয়া।  জিয়া হলেন ফ্রন্ট ফা'ইটার আর মাহবুব হলেন গোপন ফা'ইটার অথবা ডিপ্লোমেটিক ফা'ইটার। কথিত আছে তার কৌশল ও জাদুময় কথার দ্বারা তিনি অফিসার ও সৈনিকদের মোহগ্রস্ত করে রাখেন। তিনি কারো উপর উত্তেজিত হলে সরাসরি আ'ক্রমণ করেন না। পিছন থেকে আ'ক্রমণ করেন। অ'ত্যা'চারিত ব্যাক্তি বুঝতেই পারবেন না যে ক্ষতিটা কে করেছে? বুঝলেও অন্যকাউকে বলতে পারবেন না, কারণ কেউই বিশ্বাস করবে না তার ভালো মানুষ ফেইস কভারের জন্য। হ্যাঁ অবশ্যই তার অনেকগুলো ভালো নেতৃত্বের গুন আছে।  তার ইআই লেভেল অনেক উন্নত যা তিনি  অন্ধভাবে খু'নী হাসিনা ও আওয়ামী লিগের সকল অন্যায়ের সহযোগীতায় ব্যয় করেন।  তার পত্নীও তার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে আছেন।  তার জাদুময় কথার দ্বারা তিনি যশোর সেনানিবাসের অধিকাংশ অফিসার পত্নীদের মোহগ্রস্ত করে রেখেছিলেন।  সরকারি টাকা খরচ করে অফিসার পত্নীদের এতো পরিমাণ গিফট দিতেন যে তারা খুশী না হয়ে কি আর পারে? অফিসার পত্নীদের ব্যাস্ত রাখার যত পরিকল্পনা তিনি বাসা থেকেই করতেন। আর তিনি সম্ভবত বিখ্যাত খু'নী ও ছাত্রদের হ'ত্যার হাসিনার আদেশ বাস্তবায়নকারী ওবায়দুল কাদেরের আত্নীয় এবং পুতুলের বান্ধবী। মাঝে মাঝে তাকে ইন্ডিয়া ভিজিট করতে দেখা যায়, হতে পারে চিকিৎসার জন্য!!!


৫। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, 

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ কর্তৃক সেনাসদস্যদের মার খাওয়ার দ্বারা এ তথাকথিত খু'নী ও ট্রা'ন্স'জে'ন্ডার হাসিনার সহযোগী মাহবুবের মুখোশ উম্মুক্ত হয়ে যায়। যে ইউনিট মা'র খায় সেটা তার নিজের ইউনিট ১০ ইবি। এ ইউনিট গত প্রায় কয়েক বছর যাবত গোপালগঞ্জ এর জনগণকে সাপোর্ট দিয়েছে এ জেনারেল মাহবুব এর আদেশে। তারা মুজিব মন্দিরে পুজার সকল আয়োজন করতে বাধ্য হতো। যে কাজ সেনাবাহিনীর নয় সেগুলো সৈনিকদের দ্বারা করানো হতো। এ ইউনিটের সৈনিকরা গোপালগঞ্জে খু'নি হাসিনা ও তার সহযোগীদের পুজার জন্য ঠিক মত ছুটি পেত না, এ দায়িত্বের কারনে অধিকাংশ সেনা সদস্যদের মন খারাপ হতো। এ সকল সৈনিকরা সেনা মোতায়েনের পর থেকে এ এলাকার জনগণকে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। তাহলে কোন কারনে তারা সেনা সদস্যদের উপর আ'ক্র'মণ করলো? প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে তারা ১০ বেংগলের সিও, মেজর রুশাদ ও অন্যান্য অনেক সেনাসদস্যদেরকে মে'রে ফেলতে চেয়েছিলো, অ'স্ত্র কেড়ে নিয়েছিলো। অনেকের সন্দেহ যে, এ আক্রমনে জেনারেল মাহবুব এর হাত আছে। কারণ তিনি আগে সকল নেতাদের সাথে মিটিং করেছেন এবং ঘটনার পরেও তাদের সাথে আবার মিটিং করে  হাসিমুখে কথা বলেছেন ও নাস্তা করেছেন।  সন্দেহের আরো কিছু কারণ হচ্ছে, সৈনিকরা আ'ক্রান্ত হবার পর পরই মাহবুব তাদেরকে বলেন, জনতা তোমাদের উপর এতো ক্ষ্যাপা কেন?? সৈনিকরা উত্তেজিত হলে তিনি বলেন - তোমাদের আর বাহিরে ডিউটি করতে হবে না, ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করো। এছাড়াও সেনাপ্রধানের আদেশ সত্ত্বেও কেন তিনি সেখানে কোন একশন নেন নি??


তিনি তার প্রতারণা ও জাদুময় কথার দ্বারা তার প্রিয় কিছু সেনা অফিসারদের নিয়ে যেকোন সময়ে একটা ক্যু করে ফেলতে পারেন। জেনারেল জিয়াকে আর্মিতে সবাই খারাপ জানে কিন্তু এ জেনারেলকে সবাই খারাপ জানেনা কারণ তার কর্মকাণ্ড অদৃশ্য থাকে এবং তিনি খুবই ধূর্ত ও চতুর প্রকৃতির । খু'নী হাসিনার সহযোগী ও পায়ে সালামকারী হিসাবেই অবশ্যই তাকে বরখাস্ত করা উচিৎ, তথাপিও অধিকতর ন্যায় বিচারের সার্থে নিম্নোক্ত বিষয় তদন্ত করা যেতে পারেঃ


(১) কদমবুচি জেনারেল মাহবুব সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছেন।

(২) স্কুল কলেজের শিক্ষকদের পেনশনের টাকা বকেয়া থাকা সত্ত্বেও পাবলিক কলেজ থেকে (প্রিন্সিপাল নুসরাত) কোটি টাকা নিয়ে খরচ করেছেন। এমসিএসকে থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়েছেন। এই টাকা থেকে কিছু টাকা খেলাধুলা ও অন্যান্য কাজে ব্যয় করেছেন।  

(৩) প্রতিমাসে তার বাসায় প্রায় ৪ লক্ষ সরকারি টাকা খরচ হত। তিনি তার বেতন থেকে বাসায় খরচ করতেন না। সব বাজার ৫৫ ডিভিশন সদরের একিউ ব্রাঞ্চ করে দিত।  

(৪) তার যাতায়াত এবং খাবার খরচ ৫৫ ডিভিশন সদরের জিএস ফান্ড থেকে দেয়া হত, বিমানভাড়া থেকে হাত খরচ সব কিছু।  

(৫) নিজের গেষ্টদের উদ্দেশ্যে পার্টি করে সকল সেনা সদস্যদের এনগেইজ করতেন ও লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেন।

(৬) সরকারি টাকা জলসিঁড়ির জমিতে খরচ করতেন। 

(৭) নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি টাকা দিয়ে আস্থাভাজন অফিসারদের মিসেসদের দামি উপহার দিয়েছেন।

(৭) সকল ইউনিটের প্রাইভেট ফান্ড খালি করে তার রাজনৈতিক পারপাজ সার্ভ করেছেন।

(৮) বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজ পরিচিতদের (আত্নীয় বা বন্ধু, ব্যাবসায়িক পার্টনার) গিফট দিতেন সরকারি টাকা দিয়ে।

(৯) পরিচিত শিল্পী ও আরটিষ্টের এনে মোটা অংকের টাকা দিতেন।

(১০)  সেনানিবাসে আওয়ামী লিগের খু'নিদের আশ্রয় দিয়েছিলেন।

(১১)  তার অনুমতিতে বিদেশীরা বিশেষ করে বন্ধুপ্রতিম(!) দেশের লোকজন কোন পাশ ছাড়াই সেনানিবাসে যাতায়াত করতো।

(১২)  গত ডামি নির্বাচনের পূর্বে আশেপাশের আওয়ামী লিগের রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নিয়ে সেনানিবাসে মিটিং ও ভোজন বিলাস করেছেন। 

(১৩)   তথাকথিত বঙ্গবন্ধু মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন।

(১৪) খু'নী হাসিনার ছাত্রজনতার উপর নির্মম হ'ত্যা'কান্ড চালানোকালীন সময়ে কমান্ড কনফারেন্সে খেলাধুলা ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকা ও অধীনস্হদের ব্যস্ত রাখার আদেশ দেন। এমনকি ঢাকায় যেদিন চরম হ'ত্যা'কাণ্ডের ঘটনায় অফিসাদের মন খারাপ, এমন সময়ও জোর করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করেন। 

(১৫) আরো আছে।  তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে যেমন তার জলসিঁড়ি/ডিওএইচএস এর বাড়ি নির্মানে অর্থের সোর্স? মনে রাখবেন এ জেনারেলকে লন্ডন থেকে এনে যশোর রেখেছে  তার মা-দেবী খু'নি হাসিনা।  এমনিতেই রেখেছেন???

(১৬) এছাড়াও কয়েকজন সেনা অফিসারের সূত্রে জানা যায় যে বিডিআর বি'দ্রো'হের সময় তার ভূমিকা সন্দেহজনক ছিল। বিডিআর বিদ্রোহের সময় তার কার্যক্রম তদন্তের দাবী করেছেন কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা।


৭। উপরোক্ত বক্তব্যের আলোকে, বর্ণিত কর্মকর্তা এবং তার সাথে সংশ্লিস্ট সকল কর্মকর্তার জরুরীভিত্তিতে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের সম্মুখীন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘৃন্য পলিটিক্সে কেউ না জড়ায়। তবে ক্যু ঘটনার তদন্ত খুবই দ্রুত করা প্রয়োজন। এমন অফিসারদের ফ্রি চলাচল করতে দেয়া জাতির জন্য খুবই বিপদজনক। গোপালগঞ্জের ঘটনায় বুঝা যায় পরাজিত গোষ্ঠি সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর উপর ক্ষিপ্ত। স'ন্ত্রা'সী মুজিব সেনাবাহিনি সহ্য করতে পারতো না । তার মেয়ে খু'নী হাসিনা তো বাপের চেয়ে অনেক উপরে, তাইতো তিনি ক্ষমতার শুরুতেই বিজিবিতে দেশপ্রেমিক ৫৭ জন অফিসার হ'ত্যা করে রাজত্ব শুরু করেছিলেন। এরপরও সার্ভিং অফিসারদের পর্যন্ত গুম ও খু'ন করে ভীত রাখতেন। তার এ কাজে সহযোগীতা করতেন এ সকল অফিসাররা। বর্তমানে তিনি অর্থের সাগর ডিজিডিবিতে কর্মরত আছেন। যেকোন সময় তার গোপনে ক্যু এর মত কর্মকান্ড জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা সরকার, সমন্বয়ক, সেনাপ্রধান অন্যান্য দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের জীবন নিয়ে সংকিত। এ সকল কর্মকর্তারা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য তাকে ক্লোজ এ'রেস্ট অথবা কঠোর নজরদারীতে রাখা যেতে পারে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আকুল আবেদন করছি।  


৯।  আমাদের আত্ববিশ্বাস আছে, বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান একজন আদর্শবান, সৎ ও অত্যন্ত দক্ষ কর্মকর্তা, তিনি নীতির কাছে আপোষ করেন না। তিনি এ ধরনের কর্মকর্তার বি'রুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে নিরপেক্ষ তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিবেন।  


লেখক: বাংলাদেশ সরকারেরে অনুগত ও বৈষ্যমের কারণে বঞ্চিত সেনা কর্মকর্তাগণ 


দেশের জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান সরকার কিংবা সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে লেখা ও তথ্য আমাদেরকে পাঠান এই ঠিকানায়: cchrwbd@proton.me অথবা কমেন্টে দেয়া টেলিগ্রাম বট লিংকে।

কোন মন্তব্য নেই:

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages