LIFE OF BIN LADEN--বিশ্ব মৌলবাদী সন্ত্রাসের নেপথ্য নায়ক --বিন লাদেন --জীবনের কিছু স্মৃতি।--পর্ব--(৭) - khalid Saifullah

khalid Saifullah

আল্লাহর তরবারী

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

LIFE OF BIN LADEN--বিশ্ব মৌলবাদী সন্ত্রাসের নেপথ্য নায়ক --বিন লাদেন --জীবনের কিছু স্মৃতি।--পর্ব--(৭)


 
ফাইল ছবি

 অনুবাদকের কথা,


বিশ্বময় জিহাদিদের অবাধ বিচরণ। জিহাদের পদচারণা থেকে কোন রাষ্ট্র, কোন অঞ্চলই যেন বাকি নেই। মহা প্ররাক্রান্ত আমেরিকার মাটিও নয়। ইতোমধ্যে বলকান অঞ্চল থেকে আফগানিস্তান হয়ে ফিলিপিন্স পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে এক নতুন ধরণের জিহাদ। বিশ্ব কট্টরপন্থী মুসলিমদের জিহাদ। সেই জিহাদের প্রাণ পুরুষ আজ ওসামা বিন লাদেন। তার গুপ্ত বাহিনীর সদস্যরা ছড়িয়ে আছে বিশ্বের দেশে দেশে। জিহাদ চালানোর জন্য তারা তৎপর রয়েছে বসনিয়া, আলবেনিয়া, কাশ্মিরে। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বিন লাদেন হয়ে দাঁড়িয়েছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত পুরুষ। আমেরিকার বিরুদ্ধে তিনি ঘোষণা করেছেন সর্বাত্মক যুদ্ধ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের ঘাঁটিতে ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র হেনে লাদেনকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। পারেনি! পারেনি! এখন জীবিত হোক, মৃত হোক তাকে ধরার জন্য হন্যে হয়ে উঠেছে। আমেরিকা লাদেনের মাথার দাম ঘোষণা করেছে ৫০ লাখ ডলার। কিন্তু লাদেন যেন প্রহেলিকা। তাকে ধরা যায় না-ছোঁয়া যায় না। বিশ্বজুড়ে লাদেন বাহিনীর জিহাদী কর্মকান্ডের দৃষ্টান্তের অভাব নেই। ১৯৯৮ সালের আগষ্টে নাইরোবি ও দারুস সালামে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে যুগপত বোমা বিষ্ফোরণ তার অন্যতম। এ বছর প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টনের বাংলাদেশ সফর কালে জয়পুরা গ্রাম পরিদর্শনের কর্মসূচি শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়।  মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ নাকি গোপন সূত্রে খবর পায় যে, লাদেন বাহিনী চোরাগোপ্তা আঘাত হানতে পারে।কে এই ওসামা বিন লাদেন? কিভাবে কোন পটভূমি থেকে ঘটল তার উত্থান? কেমন করেই বা চালিত হয় তার গুপ্ত বাহিনীর কর্মকা-? তিনি কি পথভ্রষ্ট কোন সন্ত্রাসী মাত্র? নাকি নিশির মতো ঘোরে পাওয়া এক সৌদি বিলিওনেয়ার যিনি ঐশ্বর্য ও বিলাসী জীবন ছেড়ে সুদূর আফগাস্তিানের এক গুহায় বসে জাল বুনে চলেছেন তার বিশ্ব পরিকল্পনার? ইয়োসেফ বাদানস্কির ‘বিন লাদেন॥ দি ম্যান হু ডিক্লেয়ার্ড ওয়ার অন আমেরিকা’ গ্রন্থ এবং বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অবলম্বনে এখানে পরিবেশিত হচ্ছে সেই বহুল আলোচিত মানুষটির বিচিত্র কাহিনী।

 প্রথম জিবন

 

 ওসামা বিন লাদেন। শীর্ণ একহারা গড়ন। শশ্রুমন্ডিত চেহারা। বয়স ৪৩ এর মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এই মানুষটির কম্পিউটারের ওপর ভাল দখল আছে। চার স্ত্রী ও ১৫টির মতো ছেলেমেয়ে। তাদের নিয়ে বসবাস করছেন আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের একটি গিরিগুহায়। সেখানে ট্যাপের পানি সেই। শীতের হিংস্র ছোবল থেকে বাঁচবার জন্য গুহাটিকে গরম রাখার কোনরকম ব্যবস্থা আছে মাত্র। আর সেই সঙ্গে আছে গুপ্তহত্যা, কমান্ডো আক্রমণ ও বিমান হামলার আশঙ্কা। এগুলোর বিরুদ্ধে প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকতে হয় লাদেনকে। অথচ এমনি ঝুঁকিময়, বিপদসঙ্কুল ও অনিশ্চিত জীবন যাপন করার কথা ছিলো না লাদেনের। বাবার পথ ধরে তিনি হতে পারতেন সৌদি আরবের একজন নামী নির্মাণ ঠিকাদার। হতে পারতেন একজন ধনকুবের, যার ব্যংক ব্যালেন্স থাকত শত শত কোটি  ডলারের। অথচ তিনি প্রাচুর্যের জীবন ছেড়ে বেছে নিয়েছেন এক বন্ধুর পথ। অত্যন্ত কঠিন পরিবেশে থেকে তিনি নিজেকে উৎসর্গিত করেছেন এমন এক মিশনে যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘জেহাদ’। জিহাদের জন্য উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ও সুখ-স্বাচ্ছন্দময় জীবন পরিত্যাগ করেছেন এমন মানুষ অবশ্য বিন লাদেন একা নন, আরও অনেকেই আছেন। তাদের একজন ডা. আইমান আল জাওয়াহিরি। ইনি লাদেনের দক্ষিণ হস্ত। চল্লিশের শেষ কোটায় বয়স। মিসরের অন্যতম শীর্ষ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞহতে পারতেন তিনি। কিন্তু বিপুল সম্ভামনাময় ক্যারিয়ার ও প্রচুর্যের জীবন ছেড়ে তিনি মিসর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেন এবং দেশত্যাগে বাধ্য হন। লোভনীয় পারিশ্রমিকে তাকে পশ্চিম ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তিনি আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বসবাস করতে থাকেন। লাদেন ও জাওয়াহিরী আজ পাশ্চাত্যের চোখে সবচেয়ে কুখ্যাত মুসলিম জিহাদী নেতা। তবে তাঁরাই একমাত্র নন। এঁদের মতো আরও শত শত অধিনায়ক আছেন এবং তাদেরও প্রত্যেকের অধীনে আছে হাজার হাজার জিহাদী। এঁরা সবাই যুক্তরাষ্ট তথা গোটা পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে এক আপোষহীন ‘জিহাদে’ লিপ্ত। ১৯৯৮ সালের আগস্টে কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা বিষ্ফোরণ তাদের সর্বশেষ বড় ধরণের জিহাদী হামলার দৃষ্টান্ত। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, এই নব্য র‌্যডিকেল ইসলামী এলিটদের আবির্ভাব উন্নয়নশীল বিশ্বের সাম্প্রতিক ঘটনা। সধারণত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র ও বিক্ষুব্ধ অংশ থেকে সন্ত্রাসবাদী ও র‌্যডিকেলরা জন্ম নিলেও এই  নেতারা এসব শ্রেণী থেকে আসেননি, এসেছেন বিত্তবান ও বিশেষ সুবিধাভোগী অংশ থেকে। এঁরা শুধু উচ্চ শিক্ষিতই নন, পাশ্চাত্যের মননশীলতার দ্বারাও প্রভাবিত। ইউরোপের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিপ্লবী ও সন্ত্রাসবাদীদের থেকেও তাঁরা আলাদা। ওসামা বিন লাদেন, আইমান আল জাওয়াহিরি এবং তাঁদের সত্তর ও আশির দশকের টালমাটালময় সময়ের ফসল।



বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে তাদের জিহাদী রাজনীতি র‌্যডিকেলিজমকে আলিঙ্গন করার ব্যাপারটা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলো হলো সত্তরের দশকে তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে একই সঙ্গে আরব জাতির সমৃদ্ধি ও সত্তার সঙ্কট, ইরানে ইসলামী বিপ্লবের বিজয় এবং আশির দশকের আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী সংগ্রাম। ওসামা বিন মুহাম্মদ বিন লাদেনের জন্ম সম্ভবত ১৯৫৭ সালে সৌদি আরবের রিয়াদ নগরীতে। বাবা মুহাম্মদ বিন লাদেন তখন ছিলেন ছোটখাটো একজন ঠিকাদার। ভাগ্যের সন্ধানে তিনি ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবে আসেন। মোহাম্মদ বিন লাদেনের স্ত্রী ছিল বেশ কয়েকটি, সন্তান সংখ্যা ৫০-এরও বেশি। এদেরই একজন বিন লাদেন। মোহাম্মদ বিন লাদেন শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন বলে সন্তানদের শিক্ষাদানে কার্পণ্য করেননি। ষাটের দশকে তার পরিবার সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলে হিজাজে চলে যায় এবং শেষ পর্যন্ত মদিনায় বসতি স্থাপন করে। ওসামা বিন লাদেন তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বেশিরভাগই পেয়েছিলেন মদিনায় ও  পরবর্তীকালে জেদ্দায়।


সত্তরের দশকে তেল সঙ্কটকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর বিপুল আর্থোপার্জন মোহাম্মদ বিন লাদেনের ভাগ্যের  চাকা বদলে দেয়। হিজাজে উন্নয়নের জোয়ার বইতে থাকে এবং সেই সাথে ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে লাদেনের নির্মাণ ব্যবসা। এই নির্মাণ ব্যবসার সূত্রেই সৌদি এলিটদের সঙ্গে সরাসরি যোগযোগ ঘটেছিল তার । অচিরেই আল-সৌদ পরিবারের সবচেয়ে উঁচু মহলের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠে। নির্মাণ কাজে তিনি শুধু উৎকর্ষ ও উন্নত রুচিই এনে দেননি, আভিজাত্যও সৃষ্টি করেছিলেন। সেই সঙ্গে আল-সৌদ পরিবারকে গোপন কিছু সার্ভিসও দিতেন তিনি। তার মধ্যে একটি ছিল বিভিন্ন স্থানে অর্থ প্রেরণ। শীর্ষ মহলের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগে মোহাম্মদ বিন লাদেন তার ব্যবসায়কে সম্প্রসারিত করে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বৃহৎ নির্মাণ কোম্পানিতে পরিণত করেন এবং তার নাম দেন বিন লাদেন কর্পোরেশন। আল-সৌদ পরিবার লাদেনের কোম্পানিকে মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদ নবরূপায়ন ও পুননির্মাণের দায়িত্ব দেন। এতে কোম্পানির মর্যাদা আরও বেড়ে যায়। সত্তরের দশকে বিন লাদেন কোম্পানি উপসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি আরব দেশের রাস্তাঘাট, ভবন, মসজিদ, বিমানবন্দরসহ গোটা অবকাঠামো নির্মাণে জড়িত হয়ে পড়ে।ওসামা বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন এ যেন কথাই ছিল। প্রথমে তিনি জেদ্দার হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন। পরে সেখানকার কিং আব্দুল আজিজ ইউনিভার্সিটিতে ব্যবস্থাপনা ও অর্থনীতির ওপর অধ্যয়ন করেন। বাবা কথা দেন ওসামাকে তার কোম্পানি পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন। রাজ দরবারের সাথে বিন লাদেনের সরাসরি যোগাযোগ আছে। সেই যোগাযোগের সুযোগে অত্যন্ত আকর্ষণীয় কনট্রাক্টগুলো বাগিয়ে আনতে পারবে তার কোম্পানি। ওসমার সত্তরের দশকটা আর দশটা বিত্তবান ও প্রভাবশালী সন্তানদের মতোই শুরু হয়েছিল। সৌদি আরবের কঠোর ইসলামী জীবনধারার বৃত্ত ভেঙ্গে বেরিয়ে এসে তিনি প্রমোদ ভ্রমণে যেতেন কসমোপলিটন বৈরুতে। হাই স্কুল ও কলেজে পড়তেই তার বৈরুতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছিল।

বিন লাদেনের ভাব পুরুষ

 

 ভোগ বিলাসের উপকরণ বেশি আকর্ষণ করতে পারেনি বিন লাদেনকে। ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরাইলী যুদ্ধের পর থেকে তাঁর মধ্যে একটা পরিবর্তনের ধারা লক্ষ্য করা যায়। তখনও মাঝে মধ্যে প্রমোদ ভ্রমণে বৈরুত যেতেন বটে, তবে ইসলাম ধর্ম ও ইসলামী আন্দোলন নিয়ে প্রচুর মাথা ঘামাতে থাকেন। ইসলামী বইপত্র পড়া তাঁর অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। এবং আলেম ওলামাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ঘটে। ওসামার জীবনে এই পরিবর্তনটা আসলে ছিল সত্তরের দশকের আরব ও মধ্য প্রাচ্যের অস্থির সময়ের প্রতিফলন। এই অস্থির সময়ের একটি ফসল ছিল র‌্যডিকেল ইসলামী চিন্তাধারা।সে সময় র্যাডিকেল ভাবধারার অন্যতম পাঠ্যস্থান ছিল জেদ্দা নগরী। জেদ্দা বন্দর দিয়ে সৌদি আরবে পণ্য আনা নেয়ার পাশাপাশি মিসর ও অন্যান্য দেশ থেকে র‌্যডিকেল ইসলামী প্রচার পুস্তিকা ঢালাওভাবে চলে আসত। তা ছাড়া জেদ্দার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলর‌্যর‌্যডিকেল ইসলামী বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদদের কর্মকান্ডে মুখর হয়ে উঠেছিল। বিন লাদেনসহ জেদ্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র এই র‌্যডিকেল ভাবধারা, দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকান্ডের সংস্পর্শে আসেন। পরবর্তী পর্যায়ে মিশর র‌্যডিকেল আন্দোলনের জোয়ার, ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানের শাহের বিরুদ্ধে ইসলামী শক্তির বিজয় এবং খোদ সৌদি আরবে র‌্যডিকেল শক্তির অভ্যুত্থান চেষ্টা (কাবার মসজিদুল হারাম দখলের ঘটনা) বিন লাদেনের মতো তরুণদের প্রবলভাবে আলোড়িত করে। এরপর ঘটে আফগানিস্তানে রুশ আগ্রাসন। আগ্রাসনের অল্প কিছু দিনের মধ্যেই রুশ দখলদারীর বিরুদ্ধে শুরু হয়ে যায় মুজাহিদ বাহিনীর তৎপরতা। আমেরিকা ও সৌদি আরব পাকিস্তানের মাধ্যমে মুজাহিদদের অস্ত্র, রসদ, অর্থসহ যাবতীয় সাহায্য যোগাতে থাকে। সোভিয়েত হামলার পর মুজাহিদদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়বার জন্য প্রথম যে ক’জন আরব আফগানিস্তানের গিয়েছিল ওসামা বিন লাদেন ছিলেন তাঁদের অন্যতম। বলা যেতে পারে যে, আফগানিস্তানে সোভিয়েত হামলা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বিন লাদেন আফগানিস্তানের পথে প্রথমে পাকিস্তানে যান। সেখানে পৌঁছে আফগান মুজাহিদদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা ও অনৈক্য দেখে হতবাক হয়ে যান। অবশেষে নিজেই রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাজে আত্মনিয়োগ করে আফগান যুদ্ধের জন্য লোক সংগ্রহ অভিযানে নেমে পড়েন। বিন লাদেন এ কাজের জন্য যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন পরবর্তী কয়েক বছরে তাঁর মাধ্যমে উপসাগরীয় দেশগুলোর হাজার হাজার আরব যোদ্ধা আফগানিস্তানে পৌঁছে।


আফগানিস্তানে অবস্থানের প্রথমদিকে শেখ আব্দুল্লাহ ইউসুফ আয্যাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ঘটে। ‘ইন্টারন্যাশনাল লিজিয়ন অব ইসলাম’ নামে আন্তর্জাতিক ইসলামী জিহাদের অতি দক্ষ ও জানবায একটি হার্টকোর বাহিনী প্রতিষ্ঠায় আয্যামই ছিলেন আসল ব্যক্তি। আয্যাম প্রসঙ্গে এখানে দুটো কথা না বললেই নয়। কারণ প্রকৃত অর্থে এই মানুষটি ছিলেন বিন লাদেনের ভাব পুরুষ। আয্যামের জন্ম ১৯৪১ সালে সামাবিয়ার জেনিন শহরের কাছে এক গ্রামে। ১৯৭৩ সালে তিনি মিসরের আল আযহার  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী আইনশাস্ত্রের ওপর পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। মধ্যবর্তী সময়টিতে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। ফিলিস্তিনী মুক্তি সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। কায়রোয় থাকাকালে তিনি  ইসলামী জিহাদীদের সংস্পর্শে আসেন। এ সময় বেশকিছু ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ঘটে যাঁরা পরবর্তীকালে আফগানিস্তানে বড় ধরনের প্রভাব রেখেছিলেন। 

চলমান...

 

কোন মন্তব্য নেই:

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages