একটি ভিত্তিহীন কথা : এক নামের সবাইকে মাফ করে দেওয়া হবে - khalid Saifullah

khalid Saifullah

আল্লাহর তরবারী

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

একটি ভিত্তিহীন কথা : এক নামের সবাইকে মাফ করে দেওয়া হবে


রহমান রহিম আল্লাহ্‌র নামে-

আমরা কোনো নবীর নামে বা কোনো সাহাবী কিংবা উম্মাহর কোনো বড় আলেম-মনীষীর নামে নিজেদের সন্তানের নাম রাখি। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ সন্তানের নাম রেখেছিলেন মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের নামানুসারে।কিন্তু কিছু মানুষের মাঝে এ কথা প্রচলিত রয়েছে যে, নিজ সন্তানের নাম যদি কোনো নবী বা কোনো বুযুর্গের নামে রাখা হয় তাহলে কিয়ামতের দিন যখন ঐ নবী বা বুযুর্গের নাম ঘোষণা করা হবে তো ঐ নামের যত মানুষ আছে সকলেই দাঁড়িয়ে যাবে তখন আল্লাহ তাআলা ঐ নামের ওসিলায় সকলকেই মাফ করে দিবেন।এটি একটি কল্পনাপ্রসূত কথা, যার কোনো ভিত্তি নেই। সাথে সাথে তা শরীয়তের মেযাজেরও খেলাফ কথা। প্রতিটি ব্যক্তির ঈমান-আমল অনুসারে তার ফয়সালা হবে। নামের কারণে কাউকে মাফ করে দেওয়া হবে এমনটি ভাববার কোনো সুযোগ শরীয়তে নেই।তবে নাম অবশ্যই ইসলামসম্মত ও সুন্দর অর্থবোধক হতে হবে। হাদীস শরীফে এসেছে, নিশ্চয় কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের পিতার নামসহ ডাকা হবে; সুতরাং তোমরা সন্তানদের সুন্দর নাম রাখো। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৪৮প্রসঙ্গত জেনে নিই, সুন্দর অর্থবহ যে কোনো ইসলামসম্মত নাম রাখাই বৈধ। তবে নাম রাখার ক্ষেত্রে প্রাধান্যের পর্যায়ক্রম নিম্নরূপ

 :১. আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম। হাদীস শরীফে এসেছে-

  • আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হল, আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৮৩৩(মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা হতে পারে- আমাতুল্লাহ, আমাতুর রহমান।)
  • ২. যে নামের মাঝে আল্লাহ তাআলার আবদিয়্যাত (দাসত্বের অর্থ) পাওয়া যায় যেমন- আব্দুল আযীয, আব্দুর রহীম, আব্দুস সালাম ইত্যাদি। (মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা হতে পারে- আমাতুল আযীয, আমাতুর রহীম, আমাতুস সালাম ইত্যাদি।)৩. নবী-রাসূলগণের নামানুসারে নাম রাখা। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্তান ইবরাহীম জন্ম নেওয়ার পর নবীজী বললেন-

  • আজ রাতে আল্লাহ আমাকে একটি ছেলে সন্তান দান করেছেন। আমি পিতা ইবরাহী আলাইহিস সালামের নামানুসারে তার নাম রেখেছি- ইবরাহীম। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩১৫

    ৪. আল্লাহর যে কোনো নেক বান্দার নামানুসারে নাম রাখা; এক্ষেত্রে নবীজীর প্রিয় সাহবীগণের নাম সবার আগে।৫. ইসলামসম্মত সুন্দর অর্থবোধক যে কোনো নাম।আল্লাহ আমাদেরকে জীবনের সকল বিষয়ে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করুন- আমীন।
     

কোন মন্তব্য নেই:

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages