কোরবানি প্রসঙ্গে কিছু কথা - khalid Saifullah

khalid Saifullah

আল্লাহর তরবারী

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কোরবানি প্রসঙ্গে কিছু কথা


কোরবানি দানে সক্ষম মুসলিমদের জন্য কোরবানি করা একটি অন্যতম ইবাদত।এক্ষেত্রে লক্ষনীয় এবং প্রধান করনীয় হচ্ছে- >হালাল টাকায় কেনা হালাল পশু শুধুমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি করা। বিশ্ব নবী(সা) বলেন-“নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র বস্তু ছাড়া কবুল করেননা”।–সহীহ্ মুসলিম হাদিস নং-২৩৯৩, মিশকাত হাদিস নং-২৭৬০।(সো ঘুষ, দূর্ণীতি বা যেকোন অবৈধ পথে আয় করা পরিহার করুন। আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করুন।) >>কোরবানি বা যেকোন ইবাদত লোক দেখানোর জন্য বা সমাজে মানুষকে দেখানোর জন্য করা যাবেনা। মহান আল্লাহ বলেন- “তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠ ভাবে তাঁর ইবাদত করতে”।–সূরা বাইয়িনাহ্, আয়াত-০৫। মহান আল্লাহ আরো বলেন- “আল্লাহর কাছে ওগুলির মাংস পৌছেনা এবং রক্তওনা, বরং তাঁর কাছে পৌছে তোমাদের তাক্বওয়া”।–সূরা হাজ্জ্ব, আয়াত-৩৭। *নবী (সা) বলেন-“যে ব্যক্তি শোনাবে, আল্লাহ তা শুনিয়ে দিবেন। আর যে ব্যক্তি দেখাবে, আল্লাহ তা দেখিয়ে দিবেন”।–সহীহ্ বুখারী, হাদিস নং-৭১৫২, মুসলিম-২৯৮৭, ইবনে মাযাহ্-৪২০৭, আহমাদ-১৮৩৩০। উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী (রহ) বলেন-যে ব্যক্তি শোনাবে’ অর্থাৎ যে তার আমলকে মানুষের সামনে প্রদর্শনের জন্য প্রকাশ করবে। আল্লাহ তা শুনিয়ে দিবেন’ অর্থাৎ কিয়ামতের দিনে সৃষ্টির সামনে সে কথা জানিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করবেন। যে ব্যক্তি দেখাবে’ অর্থাৎ মানুষের সামনে স্বকৃত আমল প্রকাশ করবে যাতে সে তাদের সামনে সন্মানের পাত্র হয়। আল্লাহ তা দেখিয়ে দিবেন’ অর্থাৎ সৃষ্টির সন্মুখে তার গুপ্ত উদ্দেশ্যের কথা ব্যক্ত করে অপমানিত করবেন। (সো কোরবানির পশুর ছবি ফেসবুকে আপলোড দেয়া থেকে বিরত থাকুন। নিজেকে পয়সাওয়ালা জাহির করার উদ্দেশ্যে নয় বরং শুধুমাত্র আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে বেশি বেশি পশু কোরবানি করুন।) **অনেকে আবার এমন আছেন যে-প্রতি বছর গরু কোরবানি দেই। এবার একটু টাকা পয়সা কম যদি ছাগল দেই তাহলে মানুষ কি বলবে? (বেশির ভাগ ইমামের মতে কোরবানি করা সুন্নাত কিংবা ওয়াজিব।আবার কেউ কেউ সূরা কাউসার এর ২নং আয়াতের প্রেক্ষিতে কোরবানিকে ফরজ বলেছেন। সে যাইহোক আপনি সক্ষম হলে উট কোরবানি দেন, আর না পারলে ছাগল দেন, আর তাও না পারলে না দেন। লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কেন ??) >>>আমরা প্রায় প্রত্যেকেই একটি হাদিস জানি-“সমস্ত কাজের ফলাফল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল”। মুহাদ্দিসগণের নিকট হাদিসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইমাম শাফেয়ী (রহ) ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ) এটিকে দ্বীন এর অর্ধেক অংশ বলে অভিহীত করেছেন। ইমাম বুখারী (রহ) তাঁর গ্রন্থ সহীহ বুখারীতে ০৭ জায়গায় হাদিসটি উল্লেখ করেছেন। প্রত্যেক স্থানে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হল কর্মের বিশুদ্ধতা ও কর্মের প্রতিদান নিয়তের সাথে সম্পৃক্ত তা প্রমাণ করার জন্য। (সো সর্বোপরি নিয়ত সহীহ্ করুন।) ***আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার এবং মানার তৌফিক দান করুন। আমিন !!

কোন মন্তব্য নেই:

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages